বীরভূমে বালি পাচারের খবর এই প্রথম নয়। এর আগেও দেখা গিয়েছে অজয় নদ থেকে কিভাবে বালি উত্তোলন হচ্ছে অবৈধভাবে। ফের ক্যামেরায় উঠে এল সেই ছবি। বীরভূম ও বর্ধমানের যোগাযোগকারী অবন সেতুর নীচে অবৈধভাবে চলছে বালি উত্তোলনের কাজ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোর রাত থেকেই শয়ে শয়ে ট্রাক্টর নামিয়ে নদী বক্ষ থেকে অবৈধভাবে লোড করা হচ্ছে বালি। এরপরই সেই ট্রাক্টরে বালি লোড করে একে একে পাচার করা হচ্ছে মোটা টাকার বিনিময়ে। কে বা কারা করছে সেই বিষয়টি এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। অবন সেতুর নিচ থেকেও বালি উত্তোলন করা হচ্ছে।
ফলে যেকোনও সময় ওই সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেও বলে মনে করছে এলাকাবাসীরা। তবে কী ভাবে এই কাজ চলছে সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই গতকাল বৃহস্পতিবার এই সমস্ত অবৈধ বালি ঘাট গুলি পরিদর্শন করলেন বোলপুর BLRO ও BDO অফিসের আধিকারিকরা। যদিও আধিকারিকরা এই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।
তৃণমূলের স্থানীয় এক নেতা জানান, “অবৈধ বালির বিরুদ্ধে আন্দোলন আমরা করেছিলাম। কয়েকমাস আগে বালির গাড়িতে চাপা পড়ে তিনজনের মৃত্যুও হয়েছিল। ব্যবসা অবৈধ হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে”। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “এই বিষয়ে আমরা খুব বেশি কিছু বলতে পারিনা। কারণ এরা যথেষ্ট প্রভাবশালী লোক।
এদের নিয়ে আতঙ্কে থাকি। যদিও প্রশাসন সমস্ত কিছুই জানে। তাও খুব একটা পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। আজ দেখলাম হঠাৎ সরকারি অফিসাররা এসে ঘাট দেখে গেলেন”। বালি উত্তোলনের ফলে কমে যাচ্ছে নদীর নাব্যতা। জলকষ্টে ভুগছেন মানুষ।
তৃণমূল বলছে তারা অবৈধ বালির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। বিরোধীরা আবার তৃণমূলকেই কটাক্ষ করছে। পুলিশ বালির গাড়ি আটক করছে। এখন দেখার যে এই অভিযান মানুষকে দেখানোর জন্য না এমন অভিযান নিয়মিত থাকবে প্রশাসনের তরফে।