Hooghly Shootout : কাকভোরে শ্যুটআউট! গঙ্গা পাড়ে ডিম ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি – businessman shot in hooghly uttarpara police station area


ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা। কাকভোরে শ্যুটআউটের ঘটনায় চাঞ্চল্য। হুগলির হিন্দমোটরে ডিম ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীর নাম রাজীব সরকার (৪০)। হিন্দমোটর ঘোষপাড়া গঙ্গার ঘাটে ডিমের গাড়ি আনলোড হয়। শুক্রবার ভোর চারটে নাগাদ সেখানে গিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালনার ঘটনা ঘটে।

Barrackpur Shootout: ব্যারাকপুর শ্যুটআউটের ঘটনায় গ্রেফতার ২, এখনও ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা এলাকা
গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হিন্দমোটর বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই ব্যবসায়ীর বুকের বাঁ দিকে গুলি লেগেছে। যদিও ব্যবসায়ীর পাঁজর ছুঁয়ে গুলি বেরিয়ে গিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। সেই কারণে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছে ওই ব্যবসায়ী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ আধিকারিকরা।

Barrackpore Shootout : ব্যারাকপুরের আগে ডাকাতদের প্রথম টার্গেট হাওড়া! জানার পরেই ভয়ে সিঁটিয়ে সোনা ব্যবসায়ী
স্থানীয় সূত্র জানা গিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া মাসে চার বার ডিম আসে ব্যবসায়ীর কাছে। আজ ভোর পৌনে চারটে নাগাদ স্কুটি নিয়ে বেরিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। তখনই মাঝ রাস্তায় ৮ থেকে ১০ জন তাঁকে ঘিরে ধরে। প্রথমে দুষ্কৃতীরা ছুরি বের করে ব্যবসায়ীর উপর আক্রমণ করতে যায়। তাতে কোনওরকমে বেঁচে তিনি। ব্যবসায়ী মোবাইল বার করে ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালাতে গেলেই দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলির আওয়াজ শুনে ছুটে আসে শ্রমিকরা। তৎক্ষণাৎ ব্যবসায়ী স্কুটি নিয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।

স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় শ্রমিক গৌতম কর এই হামলার ঘটনা নিয়ে বলেন, ‘মুখে গামছা বাঁধা অবস্থায় কয়েকজন এসে তাঁকে ঘিরে ধরে। এরপরে দুষ্কৃতীরা তাকে গুলি চালায়। তবে কি কারণে গুলি চালালো তা এখনও স্পষ্ট করে বোঝা যাচ্ছে না। হতে পারে টাকা ছিনতাইয়ের জন্য তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছে। কিন্তু ওই ভোরবেলা তাঁর কাছে কোনও টাকা থাকে না।’

Birbhum Accident : মল্লারপুরে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যু, প্রতিবাদে অবরোধ-পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি গ্রামবাসীদের
খবর পেয়ে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ, চন্দননগর পুলিশের এসিপি ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এলাকার আবাসন ও রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন জিটি রোডের উপর বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় নাকা তল্লাশি। চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘ব্যবসায়ীর উপর আক্রমণের মোটিভ খোঁজার চেষ্টা চলছে। পাঁচ-ছয় জন দুষ্কৃতী ছিল বলে জানা গিয়েছে। দুষ্কৃতীরা গ্রেফতার হবেন বলেই বিশ্বাস। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে।’ পুলিশ সূত্রে খবর, পূর্ববর্তী কোনও শত্রুতার ঘটনা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *