বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে যে তথ্য উঠে আসছিল তা অনুযায়ী, সায়ন্তন বাবার এই সিদ্ধান্তে অনেকটাই অবাক। তিনি একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “দেড় মাসের আলাপে মালাবদল করে নেবেন তা আমরা ভাবতেও পারিনি।”
যদিও এই সময় ডিজিটাল-এর কাছে লক্ষ্মণ শেঠের বিয়ে নিয়ে কোনও অসন্তোষ প্রকাশ করেননি তিনি। বরং বাবার এই সিদ্ধান্ত আচমকা সামনে আসায় কিছুটা অবাক হয়েছিলেন বলেই জানান সায়ন্তন। তিনি বলেন, “এই বিষয়ে আমি কিছু বলব না। বাবা যাঁকে বিয়ে করেছেন তাঁকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। বিয়ের পর একবার আমার সঙ্গে আলাপ করানো হয়েছিল।”
পাশাপাশি লক্ষ্মণ শেঠের এই সিদ্ধান্ত ভালোভাবে মেনে নেয়নি তাঁর ছেলেরা, উঠে আসছিল এমনই তথ্য। কিন্তু, সায়ন্তন বলেন, “বাবার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আলাদা করে খুশি হওয়া বা দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই। আসলে আমরা বিষয়টি নিয়ে কিছু জানতাম না।”
লক্ষ্মণ শেঠ বিয়ে প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন। তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন, “হ্যাঁ আমি বিয়ে করেছি। কোনও রকম বিতর্ক আমল দিচ্ছি না। আমার মনে হয় না আমি আইনত কোনও ভুল করেছি।” জানা গিয়েছে, লক্ষ্মণ শেঠের স্ত্রী একটি পাঁচতারা হোটেলে উচ্চপদে কর্মরতা ছিলেন। কিছুদিন আগেই তাঁদের আলাপ হয়েছিল এবং এরপর একে অপরকে জীবনে পথ চলার সঙ্গী হিসেবে বেছে নেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, বাম রাজনীতি করতে গিয়ে লক্ষ্মণ শেঠের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁর প্রথম স্ত্রী তমালিকা পাণ্ডার। ২০১৬ সালে তিনি প্রয়াত হন। তাঁর মৃত্যুর পর থেকে একাকিত্বে ভুগছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ, ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর এমনটাই।
এদিকে তাঁর রাজনৈতিক জীবনেও আসে বড় বদল। তাঁকে সিপিএম থেকে বহিষ্কার করা হয় ২০১৪ সালে। এরপর তিনি নিজের একটি রাজনৈতিক দল গড়লেও পরবর্তীতে যোগ দেন BJP-তে। যদিও সেই দলেও তিনি বেশিদিন থিতু হননি। এরপর কংগ্রেসে যোগদান করেন এই দোর্দন্ডপ্রতাপ রাজনৈতিক নেতা।