কলকাতা প্রেস ক্লাবে শুক্রবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিনি। সেখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় জীবনে ‘সেকেন্ড ইনিংস’ শুরু করা নিয়ে। তিনি সহাস্যে জবাব দেন, “সেকেন্ড ইনিংস তো এখনও শুরু হয়নি। এখনও মাঠের বাইরে আছি। মাঠে নামি তারপর বলব।”
এদিন নিজের প্রথম স্ত্রীর প্রসঙ্গও শোনা গিয়েছে তাঁর কণ্ঠে। তিনি বলেন, “আমার প্রথম স্ত্রী তমালিকা অত্যন্ত বুদ্ধিমতী মহিলা ছিলেন। কবি সাহিত্যিক হন। স্বাভাবিকভাবে দ্বিতীয় ইনিংসে যাঁকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছি তিনিও সেই পথেই যাবেন।”
উল্লেখ্য, বাম রাজনীতি করতে দিয়ে লক্ষ্মণ শেঠের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁর স্ত্রী তমালিকা পণ্ডার। বঙ্গ রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা। ২০১৬ সালে তমালিকার মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে কর্মরতা এক মহিলাকে বিয়ে করেছেন তিনি। এই নিয়ে তাঁকে একাধিক বিতর্কের মুখোমুখি হতে হয়েছে। শেষমেশ এই নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।
প্রসঙ্গত, তাঁদের সিপিএম বহিষ্কার করলে তিনি নিজের একটি দল গড়েন। কিন্তু, পরবর্তীতে তিনি BJP-তে যোগদান করেন। যদিও পরে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন হয় এবং কংগ্রেসে যোগদান করেন তিনি।
সম্প্রতি কংগ্রেসের টিকিটে সাগরদিঘি থেকে জয়ী হওয়া বাইরন বিশ্বাস যোগদান করেছেন তৃণমূলে। এই নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে লক্ষ্মণ শেঠ বলেন, “তিনি কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন কিনা আমার সন্দেহ। নেতা তো নন। আমার জানা নেই। বৈঠক হলে অধীরবাবুকে জিজ্ঞাসা করব। তাই এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করা মুশকিল।”
পাশাপাশি নিজের রাজনৈতিক অবস্থান প্রসঙ্গও স্পষ্ট করেন তিনি। লক্ষ্মণ শেঠ বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী আমার শত্রু নন। কোনও রাজনৈতিক নেতাকেই আমি শত্রু মনে করি না। ভারতবর্ষের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমার শত্রু BJP।” অর্থাৎ গেরুয়া শিবিরকেই নিশানা করেছেন অধুনা কংগ্রেস এই নেতা। উল্লেখ্য, ১৯৮২ সাল থেকে সুতাহাটা কেন্দ্র থেকে বামাদের প্রার্থী হয়ে তিন বার জয়ী হন লক্ষ্মণ শেঠ।