রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের সময় BJP-র হয়ে প্রচার করেছেন মিঠুন। এর আগেও একাধিকবার রাজ্য সরকার এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন ‘মহাগুরু’। দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে ফের একবার সুর চড়াচ্ছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। এবার রাজ্য সরকারের সমালোচনা শোনা গেল মিঠুন চক্রবর্তীর কণ্ঠে।
শুক্রবার তিনি বলেন, “পুরো সিস্টেম দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে। যে যে সময় সিস্টেম দুর্নীতিগ্রস্ত হয়েছে তখন তখন গণআন্দোলন হয়েছে। গণআন্দোলন ছাড়া এই রাজ্যে কিছু হতে পারে না।” পাশাপাশি তাঁকে যদি ছয় মাসের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী করে দেওয়া হয় তাহলে “পশ্চিমবাংলা আর পশ্চিমবাংলা থাকবে না”, এই মন্তব্যও করতে শোনা যায় তাঁকে।
মিঠুন চক্রবর্তী আরও বলেন, “নিজেকে খুব হতাশ লাগে। মনে হয় রাজ্যের জন্য কিছু করতে পারছি না। পুরো সিস্টেম দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে। দু’একজনকে গ্রেফতার করে কিছু হবে না।”
পাশাপাশি এদিন বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনাও শোনা যায় মিঠুন চক্রবর্তীর কণ্ঠে। তিনি বলেন, “বাংলাতে যখন কিছু ঘটনা ঘটেছে আমরা জেগেছি এবং তার প্রতিবাদ করেছি। যাঁরা প্রতিবাদের সামনে থাকে তাঁদের আত্মা বিক্রি হয়ে গিয়েছে।”
নাম না করে তিনি সরাসরি তোপ দেগেছেন রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের একাংশকে। উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার মিঠুন চক্রবর্তীর কণ্ঠে শোনা গিয়েছে রাজ্য সরকারের সমালোচনা। পাশাপাশি তাঁর ছবি ‘প্রজাপতি’-র নন্দন প্রদর্শন বন্ধ নিয়ে একাধিক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। আসরে নেমেছিলেন বঙ্গ গেরুয়া শিবিরের নেতারা।
দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদার, তাঁরা দাবি করেছিলেন যেহেতু মিঠুন চক্রবর্তী যেহেতু BJP-র সমর্থক, তাই তাঁর ছবি নন্দনে দেখানো হচ্ছে না। পালটা সরব হয় রাজ্য শাসক শিবিরও। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কণ্ঠেও শোনা গিয়েছিল মিঠুন চক্রবর্তীর সমালোচনা।
সেই সময় অবশ্য আসরে নেমেছিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেব। সহঅভিনেতার পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, “কোন ছবিতে কাকে নেওয়া হবে সেই সিদ্ধান্ত নির্মাতাদের।” তৃণমূল নেত্রী সায়ন্তনী ঘোষ সেই সময় বলেছিলেন, “রাজনীতিক মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে আমার মতাদর্শ মেলে না। কিন্তু, অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে মন্তব্য করার মতো যোগ্যতা অভিনেত্রী সায়ন্তনীর হয়নি।”