শুক্রবার দুপুরে এনজেপি স্টেশনে বন্দে ভারত পৌঁছতেই একের পর এক কামরার যাত্রীরা নেমে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন। এরপরই কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। এদিনের এই অবস্থা নিয়ে যাত্রীদের তরফে ‘ট্রেনের কমপ্লেন বুকে’ অভিযোগ জানানো হয়েছে।
হাওড়া স্টেশন থেকে বন্দে ভারত ছাড়তেই দুটি কোচে এসি বন্ধ ছিল বলে অভিযোগ। তীব্র গরমে নাজেহাল হতে হয় যাত্রীদের। কিছুক্ষণ বাদে এসি চলে। এদিকে ব্রেকফাস্ট ঠিকঠাক থাকলেও লাঞ্চে দেওয়া খাবার মুখে তোলা যায়নি বলে দাবি যাত্রীদের।
সুব্রত ঘোষ নামে এক যাত্রী ক্যামেরার সামনে বলেন, ‘এসি বন্ধ ছিল। পরে চালক গার্ডকে বলার পর এসি চলেছে। পরে শৌচালয়ের জল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। খাবারের মান খুব খারাপ ছিল।’ পৌলমি পাল নামে এক যাত্রী হাওড়া থেকে বন্দে ভারতে শিলিগুড়িতে নামেন। লামাহাটা যাচ্ছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ‘আধ ঘণ্টা এসি খারাপ ছিল। সমস্যায় পড়তে হয়েছে। দুপুরের খাবারে মাংসে গন্ধ ছিল।’ বোধিসত্ত্ব বড়ুয়া নামে আরও এক যাত্রী বলেন, ‘সকালের টিফিন ঠিক ছিল। দুপুরে খাবার দেওয়ার পর চিকেনের প্যাকেট খুলতে বিভৎস গন্ধ ছিল। ক্যাটারিংয়ের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের জানানো হলে তাঁরা আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। কিন্তু, পরে কেউ কথা বলতে চাননি। বাধ্য হয়ে অভিযোগ জানাতে হয়েছে।’
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘এসি নিয়ে দুটি কোচে সমস্যা হয়েছিল। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সমস্যার সমাধান করা হয়। আর পচা খাবারের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। এটা IRCTC বলতে পারবে।’
বন্দে ভারতের নানান সমস্যা নিয়ে মাঝে মধ্যেই সরব হচ্ছেন যাত্রীরা। রেলকর্তাদের একাংশ বলছেন, সমস্যা হয়ত খুব ছোট, কিন্তু বন্দে ভারতে যাঁরা উঠছেন সকলেই একটা উচ্চাসা নিয়ে থাকেন, এটাই স্বাভাবিক। সেখানে সামান্য কিছু হেরফের হলেই সমস্যা হচ্ছে। যাত্রীদের ভালো পরিষেবা দিতে আমরা বন্ধ পরিকর।’