গ্রেফাতারির পর থেকেই দিদির ‘প্রিয়’ কেষ্টর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে দল। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একাধিকবার অনুব্রতর গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। দলের নির্দেশেই শুক্রবার দিল্লির তিহাড় জেলে গিয়ে অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করেন দুই তৃণমূল সাংসদের প্রতিনিধি দল। সেই দলে ছিলেন বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল ও রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন।
এই প্রথম দলীয় প্রতিনিধিরা প্রকাশ্যে জেলবন্দি তৃণমূল নেতার সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তিহাড় জেলে কেমন আছেন অনব্রত? কেষ্টর বন্দি দশা নিয়ে এই সময় ডিজিটালের কাছে মুখ খুললেন প্রতিনিধি দলের সদস্য সাংসজ দোলা সেন।
দোলার কথায়, ‘অনুব্রত মণ্ডল সর্বক্ষণের রাজনীতিবিদ। দীর্ঘদিন ধরে উনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। দল আমাদের পাঠিয়েছে। আমরা যে গিয়েছি, এটাই একটা বার্তা। কেষ্টদার পাশাপাশি দল ওঁর মেয়েকেও বার্তা দিতে চেয়েছে। সেই কারণে আমরা গিয়েছিলাম।’
তিহাড় জেলে অনুব্রতর বর্তমান অবস্থা নিয়েও মুখ খুলেছেন তৃণমূল সাংসদ। দোলা বলেন, ‘কেষ্টা জানিয়েছেন, উনি ঠিক আছেন। উনি সর্বক্ষণের রাজনীতিবিদ, নিজের শরীর খারাপ থাকলেও উনি সেটা আমাদের বলবেন না। দিদি (পড়ুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) ঠিক আছেন কি না, উনি জানতে চেয়েছেন। আমাদেরও খোঁজ খবর নিয়েছেন। সুকন্যার সঙ্গেও আমাদের দেখা হয়েছে। উনিও কোনও সমস্যার কথা বলেননি। আমরা গিয়েছি বলে সুকন্যা হয়েছেন। আমার খারাপ লাগা ছিল, গিয়ে ওঁদের অবস্থা দেখে আরও খারাপ লেগেছে।’
তৃণমূল যে এখনও অনুব্রতর পাশে রয়েছে তৃণমূল সাংসদের কথা থেকেই তা স্পষ্ট। দোলা বলেন, ‘কেষ্টদা হিন্দি বলতে ওতটা সড়গড় নন। উনি অভিযুক্ত, সাজা প্রাপ্ত নন। বাংলা থেকে বাইরে নিয়ে যাওয়া হল, তাতে উনি ওঁর আত্মীয়-বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাচ্ছেন না। নিজের লোকেদের সঙ্গে কথা বলার অধিকারও নেই। সুকন্যা কোনওদিনেও আমাদের দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না, তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ওঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর থেকে খারাপ আর কিছু হতে পারে?’
তৃণমূল সাংসদের মতে, ‘অনুব্রত মণ্ডল সিনিয়র রাজনীতিবিদ। ভাষা, খাদ্য বা শারীরিক কোনও সমস্যার কথা নিয়ে কোনও অভিযোগ করেননি। উনি এত ছোটোখাটো বিষয় নিয়ে কথা বলার মানুষই নন। দল ও মানুষের জন্য তিনি অনেক কাজ করেছেন। দিদির বলা সত্ত্বেও উনি সাংসদ-বিধায়ক বা মন্ত্রী হতে রাজি হননি। উনি শুধু মানুষকে সেবা দিতে চান।’