Balasore Train Accident : ট্রেন দুর্ঘটনায় নিখোঁজ দিনহাটার যুবক! বন্ধ ফোন, আতঙ্কে কাঁপছে পরিবার


Coromandel Express Accident: ওডিশার বালেশ্বের ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এই দুর্ঘটনা এখনও অবধি অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও অবধি ২৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার পর নিখোঁজ কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দা শিবা রায়। দুর্ঘটনার সময় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের পাশের ডাউন লাইন দিয়ে আসা বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে ছিলেন তিনি। ওই ট্রেনের দুটি কামরা দুর্ঘটনার ফলে লাইনচ্যুত হয়।

Coromandel Express Accident : ঝুলছে কাটা হাত-পা, ইতিউতি পড়ে রক্তাক্ত দেহ! দুর্ঘটনাস্থলের ছবি ভয়ঙ্কর
শিবা রায়ের এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। সপ্তাহ তিনেক আগে তিনি বেঙ্গালুরুতে কাজ করতে গিয়েছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়া ফেরার জন্য ট্রেনে চেপেছিলেন তিনি। দুর্ঘটনার পর থেকে এখনও অবধি তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। বাড়ির লোক শিবার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁর ফোন বন্ধ। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে উদ্বিগ্ন পরিবার। ইতিমধ্যে তাঁর পরিবারের লোক বালেশ্বরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে তাঁদের বালেশ্বরে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িতে পুজো থাকার কারণেই বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়া আসছিলেন তিনি। শুক্রবার বিকেলে শেষবার শিবার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল পরিবারের। তারপর থেকে তাঁর সঙ্গে আর ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।

Train Accident: শুধু করমণ্ডল নয়, বালেশ্বরে লাইনচ্যুত যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস
শিবার মা লক্ষ্মী রায় বলেন, ‘বাড়িতে পুজো রয়েছে। সেকারনেই ও আসছিল। গতকাল বিকেলে ফোন করেছিল। তারপর থেকে আর ফোনে যোগাযোগ নেই। আমরা খুবই দুশ্চিন্তায় রয়েছি।’ শিবার স্ত্রী জয়া ভট্টাচার্য বলেন, ‘বিকেলে ফোন করে জানিয়েছিল হাওড়া পৌছে ফোন করবে। আর ফোন নেই। কী অবস্থা বুঝতে পারছি না। আমরা খুবই দুশ্চিন্তায় রয়েছি।’

Coromandal Express Accident: উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক দলা পাকানো নিষ্প্রাণ দেহ! মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৭০, আহত ৬০০
ট্রেন দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম দিনহাটার আরেক যুবক নব্যেন্দু গোস্বামী। বেঙ্গালুরু থেকে দিনহাটা যাওয়াার উদ্দেশে ট্রেনে চেপে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেস চেপে বাড়ি ফেরার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। যুবকের বাড়ি দিনহাটার নিগমনগর এলাকায়। নব্যেন্দু এখন বালাসোরের হাসপাতালে ভর্তি। ছেলেকে নিয়ে এখনও উদ্বিগ্ন তাঁর মা। নব্যেন্দুর মা শম্পা গোস্বামী বলেন, ‘গতকাল রাতে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়েছি। এরপর আজ সকালে ছেলের সাথে ফোনে কথা হয়। ছেলে জানালো বুকে ব্যাথা আছে। ওর বাবা, কাকা সবাই বালেশ্বরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *