বৃহস্পতিবারই টুইট করে উপাচার্যদের দায়িত্ব না নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন ব্রাত্য। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘নয়া উপাচার্যদের বেতন নিয়ে মন্তব্য করব না। ওঁরা কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, সেটা ভেবে দেখতে বলব।’ শিক্ষামহলের একাংশের মতে, রাজ্য এঁদের মান্যতা না দিলে বেতন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। লিভও প্রভাবিত হতে পারে। সবচেয়ে বিপাকে পড়বেন সেই অধ্যাপকরা, যাঁরা নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যত্র উপাচার্য হয়ে গিয়েছেন। একতরফা ভাবে ভিসি-নিয়োগ বিতর্কের মধ্যেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বোস এ দিন বলেন, ‘আলোচনা মানেই সম্মতি নয়।’
এই সংঘাতের আবহে শুক্রবার ১১ জন সদ্যনিযুক্ত ভিসির সঙ্গে রাজভবনে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। সেখানে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের শিক্ষাকে দেশে সেরা করে তুলতে ১৫ দফা অঙ্গীকার করা হয়েছে বলে রাজভবন জানিয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘কলকাতা কমিটমেন্ট’। তার আগে, বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে রাজভবন জানিয়েছিল, যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি উপাচার্যহীন, সেখানে অন্তর্বর্তী নিয়োগ শুরু করেছেন আচার্য বোস।
সঙ্গে ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। বলা হয়েছে – উপাচার্য নিয়োগে ‘মধ্যপন্থা’ নিয়েছেন আচার্য। শিক্ষামন্ত্রী সব অন্তর্বর্তী উপাচার্যের কাজের মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করেছিলেন। কিন্তু যাঁরা আচার্যের নির্দেশ মেনে কাজের রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন, শুধুমাত্র তাঁদেরই মেয়াদ বেড়েছে। ব্রাত্য এ দিন বলেন, ‘উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। রাজভবনের দাবি অবৈধ। রাজ্যপালই বলেছেন, ২৭ জনের মধ্যে যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের রিপোর্ট পাঠিয়েছেন, তাঁদের মেয়াদ বাড়িয়েছেন।
আমরা একাধিক বার আলোচনার আশা করেছিলাম। রাজভবন সাড়া দেয়নি।’ শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, ‘রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় মুণ্ডহীন কেন? আমরা তো সময়েই নাম পাঠিয়েছিলাম। কলকাতার উপাচার্য পদে সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) আশিস চট্টোপাধ্যায়ের নাম সুপারিশ করে রাজভবনে পাঠানো হয়েছিল ৭ এপ্রিল। রাজ্যপাল মানেননি। ১৮ এপ্রিল আশিসের মেয়াদ ফুরিয়েছে। ১৮ মে ফের নতুন নাম পাঠানো হয়। উনি সেটাও মানেননি।’ ব্রাত্য জানান, সুপ্রিম কোর্ট একটি রায়ে জানিয়েছে, রাজ্যের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে উপাচার্য নিয়োগ করবেন আচার্য। সে কথা মানা হয়নি। উপাচার্যদের নিয়োগের কপিও পায়নি উচ্চশিক্ষা দপ্তর।