পরিবার সূত্রে জানা যায়, ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন বারে বারে ফোন করতে থাকেন মহিউদ্দিনসহ আরও তাঁর সহকর্মীদের। পরবর্তী সময়ে পরিবারের এক সদস্যের ফোনে ফোন আসে মহিউদ্দিন আর নেই। ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে তাঁর। পাশাপাশি এই ঘটনায় ওই দলের আরও বেশ কিছু জন গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।
ইতিমধ্যেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। এই বিষয়ে তাঁর পরিবারের এক সদস্য আব্দুল সামাদ শেখ বলেন, “আমাদের পরিবারে একমাত্র মহিউদ্দিনই ভালো টাকা রোজগার করত। চেন্নাইতে সে রাজমিস্ত্রির কাজ করত। সেই কাজেই সে গতকাল ট্রেনে সেখানে যাচ্ছিল।
বাড়িতে তাঁর স্ত্রী রয়েছে, তিনটি ছোট ছোট বাচ্চাও আছে। এবার কিভাবে যে কি করব আমরা ভেবে উঠতে পারছি না”। এদিকে, ওডিশার বালেশ্বরে গতকালের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই সুন্দরবন এলাকার নামখানা কাকদ্বীপের বেশ কিছু যুবক গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
তার মধ্যে একজনের মৃত্যু খবরও পাওয়া যাচ্ছে। নামখানার দেবনগর সহ কাকদ্বীপের মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামতনু নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকার বেশ কিছু জন আহত হয়েছেন এই ঘটনায়। তবে ইতিমধ্যেই আলিম হোসেন মোল্লা নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে।
কাকদ্বীপের মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জামাল শেখ, আব্বাস উদ্দিন শেখ, ইব্রাহিম শেখ, সাজিদ শেখ, সানোয়ার হোসেন মোল্লা, শামসুদ্দিন শেখ, পাশাপাশি দক্ষিণ চৌষট্টি বাড়ি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মাজীদ শেখ, মিরাজ শেখ, গিয়াস উদ্দিন শেখ, আসমুল শেখ।
অন্যদিকে রামতরু নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে রয়েছেন আশরাফ সরকার, মুজাহিদ রহমান, নজিব উদ্দিন পুরকাইত, সহ একাধিক ব্যক্তি। পাশাপাশি হালিম মোল্লা নামে ওই ব্যক্তির ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে এমনটাই খবর পাওয়া যাচ্ছে। তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।