বীভৎস সেই মুহূর্তের দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ভাটপাড়ার দুই বন্ধুও। শুক্রবার করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চেপে কেরালায় যাচ্ছিলেন শ্যামনগর রাহুতার বিআরএস নবপল্লীর বাসিন্দা রবি বিশ্বাস। সঙ্গে ছিলেন তাঁরই এক বন্ধু সঞ্জয় দত্ত। দুজনেই কেরালায় কাঠের কাজে যাচ্ছিলেন।
কিন্তু ওডিশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন রবি ও সঞ্জয়। ট্রেন দুর্ঘটনায় ছেলে আহতের খবরে ভেঙে পড়েছেন বিশ্বাস দম্পতি। আহত রবির দিদি মলি নন্দী বিশ্বাস জানান, “রাতে বাবা ফোন করে জানান ভাই ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। খবর পেয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসি।
ভাই প্ৰথমে বালেশ্বর হাসপাতালে ভর্তি ছিল। সেখান থেকে মেদিনীপুরে একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে শুনেছি”। মলি দেবী বলেন, “ভাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসুক এটাই ঠাকুরের কাছে আমার প্রার্থনা”। পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনার পরে দুই কামরার মাঝে প্রায় পাঁচ ঘন্টা আটকে ছিলেন রবি। অবশেষে আর্তনাদ শুনে উদ্ধার করে স্থানীয়রাই। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা।
প্রথমে বালেশ্বর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরবর্তীতে মেদিনীপুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় রবিকে। ভেঙেছে তাঁর পায়ের হাড়, শরীরের একাধিক জায়গা ক্ষতবিক্ষত হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। বন্ধু সঞ্জয়ও গুরুতর আহত হয়েছেন এই ট্রেন দুর্ঘটনায়। ইতিমধ্যেই তাঁর পরিবারের লোকজন পৌঁছেছেন ঘটনাস্থলে। সঞ্জয়কে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।
আহত দুই যুবকের পরিবারের তরফেই এখন কাটছে উৎকণ্ঠার প্রহর। সুস্থ শরীরে ফিরে আসুক এলাকার ছেলেরা এখন এটাই চাইছে ভাটপাড়ার মানুষ। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “ওরা দু’জন খুব ভালো বন্ধু। তাই দুজনেই একসঙ্গে কেরালাতে কাজ করতে যেত। মাঝে মধ্যেই ওরা যাতায়াত করত। কিন্তু এরকম ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হবে, সেটা ভাবতে পারিনি”।