ফলে উদ্ধারকার্যেও অনেকটা ব্যাহত হয়েছে। গ্রামের মানুষ এসে আগে উদ্ধারকার্য শুরু করেছেন। কিন্তু এই ধরনের ক্ষেত্রে উন্নত উদ্ধারকার্যের ব্যবস্থা ও প্রযুক্তির দরকার। নাহলে জীবনহানি অনেক হয়ে যায়”। রাজ্য সরকার দুর্ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়েছে। এই ব্যাপারে দিলীপ বলেন, “স্বাভাবিক। সবাই মিলে চেষ্টা করছেন।
আমরাও তো খড়গপুর থেকে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়েছি, লোকেরা গিয়েছেন। জলেশ্বর থেকে পুরো রাস্তা জ্যাম। মেদিনীপুরের বহু লোক হতাহত হয়েছেন। আমাদের রাজ্য সভাপতি রাতে বেরিয়ে সকালের মধ্যে বালেশ্বরে হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছেন। বিরোধী নেতাও একাধিক অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়েছেন।
আমরাও চেষ্টা করেছি রাজ্য সরকারও চেষ্টা করছে, সবারই করা উচিত। যতটা সম্ভব প্রাণ বাঁচানো যায় আর মানুষের কষ্ট কমানো যায়। যাদের আত্মীয় পরিজন এই ট্রেনে ছিলেন তারা অনেক উৎকণ্ঠায় আছেন”। এই ঘটনার জেরে রেলমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করেছেন সৌগত রায়। এই নিয়ে কটাক্ষ করে দিলীপ বলেন, “সৌগত রায়ের বয়স হয়ে গিয়েছে।
কোথায় কি বলতে হয় জানেন না। উনি একসময় মন্ত্রী ছিলেন কিনা জানিনা, ওনাদের দল ছিল মন্ত্রীত্বে। কি হয়েছিল জানেন সবাই। এই ধরনের ঘটনা তো কোনও মানুষের হাতে নেই, হয়ে যায়। দুর্ঘটনা দুর্ঘটনাই। আধুনিক ব্যবস্থা হওয়াতে অনেক দুর্ঘটনা কমেছে। ট্রেনে প্রতি মাসে তখন দুর্ঘটনা ঘটত, এখন অনেক কমেছে। কিছু ঘটনা হয়। কিন্তু সবাইকে মানসিক স্থিরতা রাখা উচিত”।
দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এই বিষয়টিকে মেনে নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ঠিকই আছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে যেহেতু গাড়ি গিয়েছে। সরকারের লোক গিয়ে খোঁজখবর নেবেন কে কোথায় কিভাবে আছেন এখানকার অনেক আত্মীয়রাই উদ্বিগ্ন। কিন্তু অনেক লোক গিয়ে ভিড় বাড়িয়ে লাভ নেই।
লে ম্যানরা গিয়ে তো কোনও কাজ নেই, এখানে ডাক্তারদের কাজ। টেকনিশিয়ান এনডিআরএফ-এর টিম এসেছে। তাদের যাতে কাজে অসুবিধা না হয় সেটা দেখতে হবে”। এছাড়াও দিলীপ কথা বলেন তিহাড় জেলে অনুব্রত সঙ্গে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের দেখা করতে যাওয়া নিয়েও।
তিনি বলেন,”অনুব্রত হচ্ছেন তৃণমূলের বড় সম্পদ। কেউ বলছেন বীর কেউ বলছেন বাঘ। তাদের কাছে অনেক গুরুত্ব আছে স্বাভাবিক। এতদিন ধরে লোকটা পার্টির জন্য টাকা তুলে দিয়েছে। তার ভালো মন্দ দেখার দায়িত্ব এখন অসময়ে দলের। কিন্তু পার্থ বাবুর সঙ্গে কেউ দেখা করেন কিনা সেটা আমরা জানতে পারি না”।
দিলীপ এদিন কথা বলেন দিনহাটায় BJP কর্মী খুন নিয়েও। বলেন, “উদয়ন গুহর লোক যদি খুন করেন উনি কেন মানবেন? একজন রাজনৈতিক কর্মী খুন হচ্ছেন, বাড়িতে ঢুকে খুন করা হচ্ছে। সমাজ বিরোধী বা ডাকাত নন যে তার বিরুদ্ধে কেস আছে! তিনি আমাদের দলের কর্মী। তাঁকে বাড়িতে ঢুকে খুন করা হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করুক”।