Howrah Station : ‘তীব্র শব্দ, আলোর ঝলকানি…বাকিটা দুঃস্বপ্ন!’ হাওড়ায় পৌঁছে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা শোনালেন যাত্রীরা – passengers express their terrible experience of coromandel accident reach at howrah


দুঃস্বপ্নের রাত কাটিয়ে হাওড়ায় পৌঁছলেন একের পর এক যাত্রীরা। কেউ সারা রাত দু’দানা মুখে তোলেন নি। কারোর এখনও ঘোর কাটেনি। হাওড়া স্টেশনে এসে নেমে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন অনেকেই। নিজের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন অনেকে।

Coromandel Express Accident : বেঁচে আছে তো? প্রশ্নে ভিড় স্টেশনে
ব্যাঙ্গালোর থেকে এসেছেন এক যাত্রী খাদিজা শেখ। তিনি বলেন, “কী হয়েছে বলে বোঝাতে পারব না। আমরা তো ভেবেছিলাম, আমরাও শেষ হয়ে গিয়েছি ওদের সঙ্গে। এমন একটা পরিস্থিতি হয়েছিল। আমরা সারা রাত ওখানে ছিলাম। কিছু খাওয়া হয়নি সারা রাত। একটা স্টেশনে সামান্য খিচুড়ি এবং জল দেওয়া হয়েছিল।”
আরেক যাত্রী প্রিয়া বলেন, “প্রথমে একটা তীব্র আওয়াজ হল। তারপর একটা আলোর ঝলকানি হল। এরপর সব অন্ধকার। বাকিটা দুঃস্বপ্ন। আমাদের বগিটা পেছনে ছিল। আমাদের বগিতে সেরকম কোনও অসুবিধা হয়নি। কিন্তু সামনের দিকের অবস্থা চোখে দেখা যাচ্ছিল না।”

Coromandel Express Accident : ট্রেন কখন ছাড়বে? করমণ্ডল দুর্ঘটনার পর হাওড়ায় যাত্রীদের থিকথিকে ভিড়
গার্ডেনরিচ এলাকার বাসিন্দা দিলীপ নায়েক বলেন, “হঠাৎ করে দেখলাম ট্রেনটা খুব জোড়ে থেমে গেল। আমরা বুঝতেই পেরেছিলাম কিছু একটা হয়েছে। সামনে গিয়ে দেখি ভয়ঙ্কর অবস্থা। সামনের গিয়ে দেখা গেল তিন চারটে বগি নেই। লাইন থেকে দূরে ছিটকে গিয়েছে। এরকম অভিজ্ঞতা আমার জীবনে হয়নি। আর যেন কারও এরকম না হয়।”
এদিন সকালে দুর্ঘটনাগ্রস্ত যাত্রীদের নিয়ে হাওড়া স্টেশনে এসে পৌঁছয় উদ্ধারকারী যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। ট্রেনের একাধিক যাত্রীর কারও হাতে চোট, কারও আঙুল ভেঙেছে। কারও পিঠে ক্ষতের দাগ। অধিকাংশ যাত্রীর কম বেশি চোট পেয়েছেন। সকলের মুখেই চাপা আতংকের ছাপ। গতকালের রাতের বিপদের কথা ভুলতে পারছেন না কেউই।

Odisha Train Accident : করমণ্ডল দুর্ঘটনা কেড়ে নিল একই পরিবারের ৩ ভাইয়ের প্রাণ, শোকে আচ্ছন্ন পরিবার
শনিবার সকালে যশবন্তপুর হাওড়া এক্সপ্রেস আহত যাত্রীদের নিয়ে এসে থামে হাওড়া স্টেশনে। ভয়াবহ রাতের দুর্ঘটনার স্মৃতি নিয়ে আসেন আহত যাত্রীরা। হাওড়ায় মেডিক্যাল টিম প্রাথমিক সাহায্যের জন্য একাধিক ব্যবস্থা করে রাখা হয়। হাওড়া স্টেশনের বাইরেই চত্বরেই একের পর এক প্রস্তুত রাখা হয় অ্যাম্বুল্যান্স। হাওড়া স্টেশনে আসতেই আহতদের চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়।

শুক্রবার রাতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। তার সঙ্গে দুর্ঘটনায় পড়ে যশবন্তপুর এক্সপ্রেস ও একটি মালগাড়ি। একটির ট্রেনের উপরে উঠে যায় আরেকটি ট্রেন। লাইনচ্যুত হয়ে ছিটকে পড়ে একের পর এক বগি। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে এখনও পর্যন্ত আড়াইশোর বেশি যাত্রী। এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকার্য চালানো হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *