শনিবার সকালে হেলিকপ্টারে ওডিশার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ১০টায় হাওড়ার ডুমুরজলা হেলিপ্যাড থেকে রওনা হবেন তিনি। এরপর বালেশ্বরের দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছবেন। কথা বলবেন পরিজনহারাদের সঙ্গে। দেখা করতে পারেন ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গেও।
শুক্রবার রাতেই দুর্ঘটনার খবর সামনে আসতেই টুইট করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্রুত সাহায্যের ব্যবস্থাও করেছিলেন এ রাজ্যের তরফে। ইতিমধ্যেই এ রাজ্যের তরফে বালেশ্বরে পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন এবং রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা। সেখানে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পাশাপাশি আহতদের সঙ্গেও কথাও বলেন তাঁরা। এ ছাড়াও এ রাজ্য থেকে একাধিক অফিসারকে পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে।
পড়শি রাজ্যের এই দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করতে মেডিক্যাল টিম পাঠিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। একাধিক অ্যাম্বুল্যান্সও পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে।
বালেশ্বরে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাতেই বালেশ্বরে পৌঁছেছেন BJP-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৮। আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৯০০।
নবান্নের তরফে যে নম্বরগুলি চালু করা হয়েছে সেগুলি হল, 033- 22143526/ 22535185. করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পর চালু হওয়া হেল্পলাইনগুলি হল, হাওড়া ডিভিশনের যাত্রীদের জন্য 033 2638 2217, খড়গপুর ডিভিশনের যাত্রীদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর হল 8972073925/9332392339, বালাসোর ডিভিশনের জন্য হেল্পলাইন নম্বর 8249591559/ 7978418322 এবং শালিমার ডিভিশনের জন্য 9903370746। বিপদগ্রস্ত যাত্রীদের জন্য একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে, যার নম্বর হল 6782262286।
দুর্ঘটনাস্থলের ভয়াবহ দৃশ্য দেখে শিউরে উঠছে গোটা দেশ। দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে ট্রেনের একাধিক কামরা। খেলনা গাড়ির মতো উলটে গিয়েছে একাধিক বগি। লাইনের উপর স্তূপাকৃত হয়ে রয়েছে লাশের পর লাশ। শোনা যাচ্ছে স্বজনহারাদের হাহাকার। রক্তের জন্য দৌড়াদৌড়ি করছেন পরিবারারে লোকজন। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বহু মানুষ। কোনওমতে প্রাণ বাঁচিয়ে এসেছেন যারা, চোখেমুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।