মৃতের দাদা মনোজ খড়িয়া জানান, “গত তিন মাস আগে নাগরাকাটা চা বাগানের ১০ থেকে ১২ জন যুবক বেঙ্গালুরুতে কাজের জন্য গিয়েছিলেন। সেখানে একটি হোটেলে কাজ করতেন সাগর। গতকাল তাঁরা বেঙ্গালুরু-হাওড়া ডাউন হামসফর এক্সপ্রেসে বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়ায় ফিরছিলেন। সেই সময় বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় সাগর মারা যায়”।
আহত ১০ জন ওডিশা থেকে কলকাতায় ফিরেছেন বলে জানা গিয়েছে। মৃত যুবক সাগর খড়িয়ার মৃতদেহ কিভাবে বাড়িতে আনা হবে তা নিয়ে চিন্তিত মৃতের পরিবার। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের নাগরাকাটা ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জয় কুজুর বলেন, “আমরা আহত ১০ জনকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছি।
আর মৃতদেহ কিভাবে নাগরাকাটায় ফিরিয়ে আনা যায় সেই কারনে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলছি”। এদিকে, হু হু করে ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্রমশ বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। গতকাল দুপুর সওয়া ৩টে নাগাদ হাওড়ার অদূরে শালিমার স্টেশন থেকে ছেড়েছিল আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রায় চার ঘণ্টা পরে ওডিশার বালেশ্বরের বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২৩ কামরার ট্রেনটি।
দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার মাত্রই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছায় উদ্ধারকারী দল। প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রেলওয়ের কর্মচারী, উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে। পরে ঘটনা স্থলে পৌছায় ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট দল। ট্রেনের বগিগুলির দুমরানো মোচড়ানো ছবি দেখলে হাড় হিম হয়ে যাচ্ছে সকলেরই।
প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছিল না হতাহতের সংখ্যা কত। পরে উদ্ধার কাজের গতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে মৃত ও আহতের সংখ্যাও। সেই সঙ্গে রাজ্যের প্রায় সব জায়গা থেকেই আসছে মৃত্যুর খবর। বোঝাই যাচ্ছে মৃত ও আহতদের মধ্যে বেশিরভাগ এই রাজ্যেরই বাসিন্দা। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন হলেন নাগরাকাটা চা বাগানের সাগর।