ফুলমনি টুডু, মুকুলি টুডু ও লক্ষ্মী মূর্মু। এক মাস আগে এক ঠিকাদার মারফত সুগন্ধা এলাকা থেকে ৯ জন মহিলা ধান রোয়ার কাজে তামিলনাড়ু গিয়েছিলেন। গতকাল কাটপাডি জংশন থেকে যশবন্তপুর এক্সপ্রেসে ওঠেন ওই তিনজন। দুর্ঘটনার পর মুকুলি ফোন করে তার স্বামী বিনয়কে এই বিষয়ে খবর দেন। তারপর আর কথা হয়নি।
আজ সকালে আবার ফোনে কথা হয়। জানা যায়, ওডিশার হাসপাতালে চিকিৎসা হয়েছে তাদের। স্থানীয় প্রশাসন মেদিনীপুরে নিয়ে আসবে। সেখান থেকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হবে তাঁদের। তবে যতক্ষণ বাড়ি ফিরে আসছে ততক্ষণ উৎকণ্ঠায় রয়েছে পরিবার থেকে গ্রামবাসীরা।
এই বিষয়ে গ্রামবাসী মৌসুমী টুডু কালিপদ টুডুরা জানান, “একমাস আগে কাজের সূত্রে তামিলনাড়ু গিয়েছিলেন এলাকার বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে তিনজন গতকাল বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎই জানতে পারি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। জানতে পেরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে কোনোভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না।
পরে বৌমা মুকুলি ফোন করে জানায় যে দুর্ঘটনা ঘটেছে। আঘাত লেগেছে তবে বেঁচে আছে বলে জানিয়েছে। যতক্ষণ না তাদের দেখতে পাচ্ছি মনে শান্তি হচ্ছে না”। এদিকে, রেল জানিয়েছে, যে গতিতে ছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং যশবন্তপুর এক্সপ্রেস ট্রেনই দুটি, তাতে মুখোমুখি ধাক্কা লাগলে কখনও একটি ট্রেনের উপর আরেকটি ট্রেন উঠে যেত না।
এরপর রেলের ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে পৌঁছন, তদন্ত শুরু করেন। প্রাথমিক তদন্তের পরই বুঝতে পারা যায়, কোনও ট্রেনের মুখোমুখি ধাক্কা লাগেনি। ধাক্কা লেগেছে পাশাপাশি। আর যেহেতু তিনটি ট্রেন একসঙ্গে এই দুর্ঘটনায় জড়িয়ে যায়, তাই দুর্ঘটনার অভিঘাত হয়েছে মারাত্মক। যার আতঙ্ক থেকে এখনও বেরোতে পারছেন না প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা।