ওডিশার দুর্ঘটনাস্থল থেকে ইতিমধ্যেই এরাজ্যের ৩১ জন হতভাগ্য বাসিন্দার মৃত্যুর খবর মিলেছে। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন ৩০ জন। এখনও নিখোঁজ বহু মানুষ। সেই নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজ দিতেই রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ। এগিয়ে বাংলা-এর পশ্চিম মেদিনীপুরের পোর্টালে রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া হয়েছে সমস্ত। নিখোঁজ পরিজনদের নাম সেই তালিকায় না পেলেও কন্ট্রোলরুমে ফোন করে যাতে খোঁজ খবর নেওয়া যায় তার জন্য সহায়তা নম্বরও দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া রেল দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যে ২৭৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে । তার মধ্যে এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি ১৬০ জনকে। যদি সেই তালিকায় লুকিয়ে থাকে এরাজ্যের কোনও হতভাগ্য যাত্রী, তাই সে খোঁজ দিতেও রেল মন্ত্রকের থেকে প্রাপ্ত মৃতদের ডিজিটাল নমুনা ও ছবিও সাইটে আপলোড করা হয়েছে। যাতে নিখোঁজদের শনাক্তকরণ সহজে সম্ভব হয়। আহত কত জন এবং তারা কোন হাসপাতালে ভর্তি তার বিস্তারিত তালিকা দেওয়া হয়েছে এগিয়ে বাংলা পশ্চিম মেদিনীপুরের সাইটে- https://www.paschimmedinipur.gov.in/ undefined।
রাজ্য সরকারের সাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি ১২১ জন যাত্রী। এছাড়া ওডিশা সীমা সংলগ্ন জেলায় হাসপাতালে কত বেড খালি রয়েছে সে তথ্যও দেওয়া রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই এই তথ্য আপলোড করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধেয় ওডিশার বালেশ্বরের বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ও যশবন্তপুরম-হাওড়া সুপারফার্স্ট এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা আহতের সংখ্যাও ১০০০ ছাড়িয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রেনে নিখোঁজ যাত্রীদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে বাড়ির লোকজনদের। রাজ্য সরকারের এই তথ্য তাদের সাহায্য করবে বলেই মনে করছে শীর্ষ আধিকারিকরা।