কালীঘাট থেকে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রের BJP সরকারের উদ্দেশে তোপ দেগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”কেন্দ্র কথা বলে বেশি, কাজ করে কম। আমরা তো উদ্ধার কাজের কথা ভাবছি আর ওরা মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করছে। পদত্যাগ নিয়ে কিছু বলব না। সে তো জনতা বলবে। আমি চাই দুর্ঘটনার পিছনের আসল কারণ। সত্যিটা বেরিয়ে আসুক। আগামীতে তো জীবন বাঁচবে। এভাবে তদন্ত হয় না। রেলের সেফটি কমিটি আছে তারা বিষয়টা দেখে। তিন মাস সময় লাগে পুরো তদন্ত শেষ হতে। মৃতের সংখ্যা না কমানো হোক। সত্যিটা বাইরে আনা হোক। সত্যি তো আবার ওদের যেন কামড়ায়। ”
এছাড়াও রেল মন্ত্রককে নিয়ে একাধিক অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে এই স্পর্শকাতর সময়ে দাঁড়িয়ে এমন রাজনীতি নিয়ে ধিক্কার জানান তিনি। প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”রেলের পরিকাঠামো, চরিত্রটাকেই এরা নষ্ট করে দিয়েছে। আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম সমস্ত কিছু করে দিয়ে এসেছিলাম অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস থেকে আনম্যানড সিগন্যালগুলিকে ঠিক করা। দুরন্ত এক্সপ্রেসও আমার চালু করা আজ তাঁর কী অবস্থা করেছে। অ্যান্টি কলিশন কেন করেছিলাম ট্রেন অটোমেটিক দাঁড়িয়ে যাবে। চালক ঘুমিয়ে পড়লেও জাগিয়ে দেবে। আজ সেসব কিছুই নেই। রেলকে পুরো সাজিয়ে দেওয়ার পরও কেউ দায়িত্ব নেয়নি আর কেউ দেখেনি। আজ এই হাল।”
এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”আমি না থাকলে দিল্লি মেট্রোও হত না। তখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শীলাদি, শীলা দীক্ষিত। ওদের নিজেদের মধ্যে সমস্যা ছিল। আর অ্যান্টি কলিশন নিয়ে তো কাল রেলমন্ত্রীর সামনেই বলেছি। তখন কেন মুখ খুলবেন না।”
বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে নোংরা রাজনীতির অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ”ওদের বলুন কালো কাপড়ে মুখে ঢেকে ঘরে থাকতে। এত বড় ঘটনার পরও আমার আমলে কত লোক মরেছে, নীতীশের আমলে কত লোক মরেছে, লালু প্রসাদের সময়ে কত ট্রেন দুর্ঘটনা এই তত্ত্ব টানছে। আমার সময়ে রেলের হাল কী ছিল! এবার তো মনে হচ্ছে ব্রিটিশ আমলের দুর্ঘটনাকেও টানবে। জানেন, এসবের মধ্যেও কাল আমি যখন ওখানে ছিলাম তখন ওই পরিস্থিতিতেও বিজেপির দলীয় স্লোগান দিচ্ছে কয়েকজন।”