এর মধ্যে ঘটে যায় বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দূর্ঘটনা। বহু মানুষের মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। বহু সংখ্যক দুর্ঘটনা কবলিত গুরুতরভাবে জখম মানুষ ওডিশা এবং বাংলার বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উদ্ভুত পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে কোলাঘাটের এই সংস্থা কয়েক ঘণ্টার যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি নিয়ে একটি বাসযোগে তিরিশ জনকে নিয়ে আলোচনাক্রমে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পৌঁছে যান এবং রক্তদান করেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বার্তা পাঠান দুর্ঘটনা কবলিতদের রক্তের প্রয়োজন হলে এই রক্ত সংগ্রহ করতে পারেন।
পাঁশকুড়া পিতপুরের এই সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ব্ল্যাড ব্যাঙ্কের মেডিক্যাল ইনচার্জ ডাঃ পারমিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এমনিতেই প্রখর গরমে রক্তের জোগান কম। তার উপর দুর্ঘটনা জনিত পরিস্থিতিতে রক্তের প্রয়োজনে এই রকম উদ্যোগ দরকার ছিল এবং আরও প্রয়োজন। তাহলেই হয়ত আহতদের আরও বেশি বেশি করে রক্তের যোগান দেওয়া যাবে। সেই সঙ্গে তাঁরা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন।”
উদ্যোগী সংস্থার পক্ষে শুভঙ্কর বোস জানান, “প্রয়োজনে যে কোনও পরিস্থিতিতে আমরা এমন উদ্যোগ নিতে সবসময়ই তৈরি আছি। সাধারণত জুন মাসের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে আমরা রক্তদান শিবির করে থাকি। একটু এটা জেহেতি একটি আপৎকালীন পরিস্থিতি, তাই এই মুহূর্তে আর বসে থাকা সম্ভব নয়। আমরা এইটুকু রক্ত দিয়ে হয়ত কিছু মানুষের প্রাণ বাঁচাতে পারব।”
আরও দু একটি সংস্থা এদিন একই উদ্দেশ্যে রক্তদানে সামিল হয়েছিল। এরকমই মহৎ উদ্যোগ দেখা গিয়েছে বালেশ্বরের স্থানীয় মানুষদের মধ্যেও। বালেশ্বর এবং তার আশপাশের নানা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুর্ঘটনায় আহতরা। রক্তের অভাবে যাতে তাঁদের প্রাণ না যায়, সেই চেষ্টাই করছেন স্থানীয়রা।
তাই স্বেচ্ছায় পৌঁছে গিয়েছেন হাসপাতালে। লাইনে দাঁড়িয়ে রক্তদান করছেন যাতে রক্ত সরবরাহে সমস্যা না হয়। হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের সামনে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, কলেজ পড়ুয়া, বেসরকারি সংস্থার কর্মী থেকে ট্রাকচালকরা ভিড় জমিয়েছিলেন। আহতদের জন্য রক্তদানের তাগিদে নিজে থেকে এগিয়ে এসেছেন তাঁরা। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে রক্ত দিতে দেখা গিয়েছে তাঁদের।