এমনই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর দুই নম্বর ব্লকের ঘনশ্যাম বাটি গ্রামে। জানা যায়, ঘনশ্যাম বাটি গ্রামের বাসিন্দা জগন্নাথ ঘোড়ইয়ের নাতির অন্নপ্রাশন ছিল শুক্রবার। তাই দুপুর ও রাতে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। আমন্ত্রিত ছিলেন প্রায় শতাধিক।
সেই অনুষ্ঠানে খাওয়া দাওয়ার পরেই শুক্রবার রাত থেকে বমি পায়খানা নিয়ে একে একে অসুস্থ হতে থাকেন অনেকেই। ইতিমধ্যেই যার সংখ্যা প্রায় ১০০ ছুঁই ছুঁই। শনিবারও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। শনিবার রাত পর্যন্ত সোনাখালী গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় প্রায় ১২ জনকে। গ্রামেও চিকিৎসারত রয়েছে প্রায় ৬০ জন।
ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে গ্রামে পৌঁছন ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস সহ মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকরা। যদিও প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, পানীয় জল বা ফুচকা থেকেই কোনও বিষক্রিয়ার কারণেই এই ঘটনা। যদিও পুরো বিষয়টি উপর নজর রেখেছে মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকেরা বলে জানিয়েছেন মহকুমা শাসক।
এদিকে এই ঘটনায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। শুক্রবার ওই অনুষ্ঠানে যেসব খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল সেইসব খাবারের নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি ফুচকার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তা পরীক্ষার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়। তবে অসুস্থ হয়ে পড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সকলেই জানান ফুচকা খাওয়ার ফলে তাদের বমি পায়খানা শুরু হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ও ঘাটাল মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অসুস্থ ৭৭ জনের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই এলাকার মানুষ যে কল থেকে পানীয় জল ব্যবহার করেন তার নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য দাসপুর দুই ব্লক স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ওই গ্রামে শনিবার মেডিক্যাল টিম বসানো হয়েছে। মেডিক্যাল টিমের প্রতিনিধিরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অসুস্থ মানুষদের চিকিৎসা করছেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “আসল খাবার থেকে কিছু হয়েছে কিনা বলতে পারব না, তবে ফুচকা থেকে যে হয়েছে সেটা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। কারণ যে যে ব্যক্তি ফুচকা খাননি, তাঁরা সুস্থ আছেন। তাঁদের কিছুই হয়নি।”