কথিত আছে আজকের স্নানযাত্রার পরেই জগন্নাথের শরীরে আসবে ধুম জ্বর। জ্বরে কাবু হয়ে রথের দিন পর্যন্ত তিনি গৃহবন্দী হয়ে থাকবেন। রথের দিন রাজ বেশে রাজ রথে করে পুনরায় ভক্তদের মাঝে অবতীর্ণ ও পুজিত হবেন তিনি।
এদিন স্নানযাত্রা উপলক্ষ্যে সমস্ত ভক্তদের জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল ইসকনের তরফ থেকে। একইসঙ্গে বিশৃঙ্খলা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা রাজাপুর জগন্নাথ মন্দিরে শুরু হয়ে গেল স্নানযাত্রার মাধ্যমে রথের প্রস্তুতি।
এই বিষয়ে ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানান, “অনন্য উৎসবের মতো ইসকনের রথযাত্রা এবং জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা একটি ধর্মীয় মুখ্য অনুষ্ঠান। জগতের নাথ অর্থাৎ জগন্নাথ দেব এই স্নানযাত্রার পর গৃহবন্দী অবস্থায় থাকবেন। রথের দিন পুনরায় তিনি ভক্তদের মাঝে অবতীর্ণ হবেন। প্রতিবছরের মতো এবারও রাজাপুরে মহাসমারহে চলছে জগন্নাথ স্নানযাত্রা উৎসব। আগত সমস্ত ভক্তদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে মহাপ্রসাদের। গরম উপেক্ষা করেই হাজার হাজার ভক্ত সমবেত হয়েছেন এই রাজাপুর মন্দিরে স্নানযাত্রা উপলক্ষ্যে।”
রথের আগে জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে শ্রী জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা পালিত হয়। এদিন লাখ লাখ ভক্ত সমাগম হয় পুরীর জগন্নাথ ধামে। এই দিন ১০৮ টি সোনার ঘটিতে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা তিন বিগ্রহকে স্নান করান হয়। জগন্নাথ মন্দিরের উত্তর দিকের কূপ থেকে তোলা বিশুদ্ধ জল দিয়ে ধোয়ানো হয় বিগ্রহ। কথিত আছে, এই পুণ্য স্নানযাত্রা দেখলে সব পাপ ধুয়ে যায়।
প্রচলিত রীতি অনুযায়ী মনে করা হয়, এরপর জ্বর আসে তিন ভাইবোনের। এই সময় বন্ধ থাকে মন্দির। এই বছর রথ ২১ জুন। স্নান যাত্রার পর ধুমধাম করে পালিত হয় রথ যাত্রা। আর রথ মানেই পুজোর কাউন্টডাউন শুরু। এই সময় থেকেই কুমোরটুলিতে বায়না হয়ে যায় দুর্গাপ্রতিমার। রথের রশিতে টান দিয়েই দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়।