Train Accident : ইঞ্জিন থেকে নতুন এলএইচডি কোচের কাপলিং ছিঁড়ে বিপত্তি! – way to guwahati from new delhi news 17 lhb coach was torn from engine in alipurduar


এই সময়, আলিপুরদুয়ার: শনিবার সকাল দশটা চল্লিশ। ওডিশার বালেশ্বরে দুর্ঘটনার পরে চব্বিশ ঘণ্টাও কাটেনি। নয়াদিল্লি থেকে গুয়াহাটির দিকে ঝড়ের বেগে ছুটছিল নতুন এলএইচবির ১৭টি ফাঁকা বগি। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের অসমের কোকরাঝাড় জেলার ফকিরাগ্রাম জংশনে ঢোকার বেশ খানিকটা আগে হঠাৎ বিকট শব্দ।

ইঞ্জিন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ডাউন লাইনে থমকে গিয়েছে বগিগুলি। দেখা যায়, কাপলিং ছিঁড়ে প্রায় ছ’শো মিটার এগিয়ে গিয়েছে ইলেকট্রিক ইঞ্জিন। বিপদ আঁচ করতে পেরেই আপৎকালীন ব্রেক কষেন চালক। বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ওই ফাঁকা রেকটি।

Coromandel Express Accident Helpline Number : করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, চালু হেল্পলাইন নম্বর
রেলের দাবি, ওই এলএইচবি কামরগুলি একেবারেই নতুন। অচিরেই উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কোনও একটি দ্রুতগামী নতুন ট্রেন হয়ে ছোটার কথা ছিল তার। এই ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠেছে, নতুন ১৭টি কামরার সঙ্গে লাগানো ইঞ্জিনের কাপলিং আচমকাই ছিঁড়ল কেন?

তাহলে কি নতুন ওই রেকটিকে রেলপথে ছেড়ে দেওয়ার আগে, একেবারেই দায়সারা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল? যদি ফাঁকা অবস্থায় না ছিঁড়ে যাত্রীসহ ছিঁড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটত, তার দায় কার হতো? ওই সমস্ত প্রশ্নের মুখে রীতিমতো বিব্রত দেখিয়েছে রেল কর্তাদের।

Coromandel Express Accident: কী ভাবে এক লাইনে দু’টি ট্রেন? করমণ্ডল-দুর্ঘটনার নেপথ্যে সিগন্যাল ত্রুটি?
এই ঘটনার পরে প্রায় দু’ঘণ্টা ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে রেল আধিকারিকরা কাপলিং মেরামত করার পর ওই ফাঁকা রেকটি নির্দিষ্ট গন্তব্যে রওনা দেয়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রাজীব হাজং বলেন, “আমি তখন রেললাইনের পাশের রাস্তা ধরে যাচ্ছিলাম। আচমকাই বিকট শব্দ কানে আসে। দেখি, বগি ছেড়ে ইঞ্জিনটি অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। ট্রেনটিতে যাত্রী না থাকায় বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি।”

আলিপুরদুয়ারের রেলওয়ে ডিভিশনাল ম্যানেজার দিলীপ কুমার সিং বলেন, “সব দুর্ঘটনাকেই গুরুত্ব দিয়ে বিচার করে রেল। কেন হঠাৎ ওই নতুন এলএইচবি রেকটির কাপলিং ছিঁড়ে গেল, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।”

Balasore Train Accident : ছেলে ফিরবে তো? অপলক দৃষ্টিতে বাড়িতে একা মা অপেক্ষায় বসে!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলের এক আধিকারিক বলেন, “রক্ষণাবেক্ষণে নজর না দিয়ে শুধুই আমাদের উপরে বোঝা চাপানো হচ্ছে। খানিকক্ষণ বাদেই ওই ডাউন লাইন ধরে পর পর বেশ কয়েকটি দ্রুতগামী ট্রেন যাওয়ার কথা ছিল। দুর্ঘটনাস্থল দুটি স্টেশনের মাঝে হওয়ায় বড় বিপত্তি ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *