Water Problem : তীব্র দাবদাহে পানীয় জলের চরম সংকট, ক্ষোভ গোঘাটের গ্রামে – drinking water problem in goghat tarahat area


West Bengal News : তীব্র পানীয় জলের সংকট। আরামবাগ মহকুমার গোঘাটের প্রত্যন্ত এলাকা তারাহাট। গোঘাট দুই নম্বর ব্লকের মান্দারন অঞ্চলের তারাহাটে ৫০ থেকে ৬০ টি পরিবার বাস করে। এই পরিবারগুলিতেই তীব্র পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। প্রত্যন্ত একটি এলাকা হওয়ায় প্রশাসনেরও কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ।

ওই এলাকায় পানীয় জলের জন্য টিউবওয়েল থেকে সজল ধারা অথবা PHE-র জল সরবরাহ না হওয়ায় প্রচণ্ড গরমে পানীয় জলের সংকট দেখা দেওয়ায় ক্ষোভে ফুটছেন এলাকার মানুষ। তাদের অভিযোগ বারবার স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর ও স্থানীয় শাসক দলের নেতাদের জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।

Water Crisis : পানীয় জলের তীব্র হাহাকার, চরম সমস্যায় বারুইপুর এলাকার বাসিন্দারা
পানীয় জলের সংকট মেটেনি গ্রামে। বর্তমানে ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা আরামবাগ মহকুমা জুড়ে। এইরকম এক পরিস্থিতিতে পানীয় জল না থাকায় সমস্যায় পড়েছে গ্রামের মানুষ। দূর দুরান্ত থেকে গ্রামের গৃহবধূরা জল আনতে যাচ্ছেন। এমন কি পুকুরে জল নেই। পাশের গ্রাম থেকে জল এনে গ্রামবাসীদের ব্যবহার করতে হচ্ছে।

বারবার জানানো সত্ত্বেও মান্দারন গ্রাম পঞ্চায়েত ও গোঘাট দুই নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি ওই এলাকায় পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা করেনি বলে অভিযোগ। রাস্তা থেকে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত এলাকার মানুষ বলে অভিযোগ। যার ফলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

Dakshin 24 Parganas : বেহাল পরিস্থিতি নদীবাঁধের, আতঙ্কে গোসাবার বাসিন্দারা
স্বাধীনতার এত বছর অতিক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও কেন তারা পানীয় জল থেকে বঞ্চিত সেই নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি গ্রামবাসীরা। গ্রামের বাসিন্দা মিঠু সাঁতরা বলেন, “পরের বাড়ি থেকে জল এনে খাই। পঞ্চায়েত কে বহুবার জানানো হয়েছে। ৫০ থেকে ৬০ টি ঘরের সমস্যা আছে।”

শিখা রায় নামে এক গৃহবধূ বলেন, “গ্রামের মধ্যে কোনও টিউবওয়েল সজলধারা ও PHE-র জল নেই। ঘরের গৃহবধূ হয়েও গ্রামের স্কুল ও হাসপাতাল থেকে পানীয় জল আনতে হয়। এটা খুব লজ্জার।”

Bankura News : হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল জলের ট্যাঙ্ক, ‘কাটমানি’ খাওয়ার অভিযোগে ক্ষোভ বাঁকুড়ার গ্রামে
পাশাপাশি কাকলি ধারা নামে আরেক গৃহবধু বলেন, “সবাইকে বলা হয়েছে। ভোট এলে পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর কথা বলা হয়। কিন্তু কেউ কথা রাখেনা। টিউবওয়েল হয়নি।”

অপরদিকে গোঘাট দু নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনিমা কাটারি বলেন, “সত্যি যদি জলের কষ্ট হয়ে থাকে, তাহলে সেটা খুবই কষ্টের। আমাকে জানানো হয়নি। ওই এলাকার মানুষ যদি আমাকে জানায় তাহলে জলের ব্যবস্থা করা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার খুবই মানবিক সরকার। জল কষ্টের সমস্যার সমাধান করা হবে।”

Sundarban Weather : তীব্র দাবদাহে জলকষ্টে ওষ্ঠাগত প্রাণ! গোসাবায় ক্ষোভ প্রকাশ স্থানীয়দের
অন্যদিকে গোঘাটের BJP নেত্রী দোলন রায় বলেন, শিক্ষিত মানুষ বলে থাকে, জলই জীবন। তৃণমূল একটি ব্যর্থ সরকার, “তোলামূল সরকার। পানীয় জলের পরিষেবা দিতে পারে না। এর থেকে লজ্জার আর কি আছে। তৃণমূল নেতাদের লজ্জা হওয়া উচিত। বাঁচার জন্য পানীয় জল অবশ্যই দিতে হবে। পানীয় জল না দেওয়ার জন্য তৃণমূল সরকার কে ধিক্কার জানাই।”

সবমিলিয়ে কবে পানীয় জলের সংকটের সমাধান হয় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন এলাকার মানুষজন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *