মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: হাসপাতাল থেকে ওষুধ ‘পাচার’! কীভাবে? ফার্মেসি থেকে রিকুইজিশন স্লিপ দিয়ে তোলা হয়েছে প্রচুর ওষুধ। এমনকী, আলাদা প্রেসত্রিুপশনে একই ওষুধ নিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মী, এমনকী চিকিৎসকরাও! শোরগোল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে।
ঘটনাটি ঠিক কী? রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে এখন চিকিৎসা মেলে নিখরচায়। সঙ্গে ওষুধ ও চিকিৎসার সরঞ্জামও। বস্তুত, সাধারণ রোগীদের মতোই হাসপাতাল থেকে ওষুধ নিতে পারেন স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকরাও। কিন্তু তা বলে একসঙ্গে ২০ পাতা প্যারাসিটামল! ৫-১০ পাতা করে অ্যান্টিবায়োটিক! তাজ্জব বনে গিয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরেই নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের অত্যাধিক ব্যবহারে সন্দেহ হয় কর্তৃপক্ষের। এরপর ফার্মেসি বিভাগে শুরু হয় নজরদারি। দেখা যায়, রিকুইজিশন স্লিপ দিয়ে ফার্মেসি থেকে প্রচুর ওষুধ নিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকরা। কীসের ওষুধ? কেউ ২০ পাতা প্যারাসিটামল নিয়েছেন, তো কেউ আবার ৫-১০ পাতা করে অ্যান্টিবায়োটিক! এমনকী, ৫ জনের প্রেসত্রিুপশন দেখিয়ে একই ওষুধ তোলা হয়েছে একাধিকরার। ৩০-৪০ জনকে শনাক্ত করে ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে।
এর আগে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে চুরি হয়ে গিয়েছিল টোসিলিজুম্যাব (Tocilizumab) ইঞ্জেকশনের ২৬টি ভায়াল। এক-একটি ভায়ালের দাম প্রায় ৫০ হাজার। অভিযোগ ওঠেছিল, হাসপাতালেরই এক চিকিৎসক প্রভাব খাটিয়ে কর্তব্যরত এক নার্সের কাছ থেকে ওই ইঞ্জেকশন হাতিয়েছেন। বদলি করা হয় ২ জনকেই। সেই মেডিক্যাল কলেজের ফর্মেসি থেকে এবার ওষুধ তোলা হয়েছে। কেন? আশঙ্কা করা হচ্ছে, ব্যক্তিগত প্রয়োজনে নয়, বরং হাসপাতালে থেকে ওষুধ হয়তো বাইরে চলে গিয়েছে।