সুতপা সেন: ‘এখনও পর্যন্ত ৭৩ মৃতদেহ আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে’। বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনার নিহতদের প্রতি শেষশ্রদ্ধা জানালেন মুখ্য়মন্ত্রী। বললেন, ‘আমরা ঠিক করেছি, মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেব। একটা করে স্পেশাল হোমগার্ডে চাকরি দেব’। আহতদের দেখতে আগামীকাল, মঙ্গলবার কটক ও ভুবনেশ্বরে যাচ্ছেন মমতা।
ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মালগাড়ির ধাক্কায় বেলাইন শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস! মৃতের সংখ্যা প্রায় তিনশো। কীভাবে ঘটল বিপর্যয়? রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ‘যে পরিস্থিতিতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং প্রশাসনিকভাবে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সেটা মাথায় রেখে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছে রেল বোর্ড’।
অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসে যাত্রী ছিলেন রাজ্যের অনেকেই। দুর্ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, এদিন নবান্নের কাছে টোল প্লাজা তাঁদের শেষশ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত ৭৩ মৃতদেহ আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। কিন্তু ৯০ জনের লিস্ট আমাদের কাছে শনাক্ত হয়ে আছে। বাকি দেহগুলি শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। পরিবারের কাছে ছবি চেয়েছি’।
স্রেফ নিহতদের পরিবারকেই নয়, বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় বেশি ও অল্প আহতদেরও আর্থিক সাহায্য করবে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা আহত, তাঁদেরও ৫০ হাজার টাকা করে দেব। বেশি আহতদের ১ লক্ষ দেব। কম আহত ২৫ হাজার দেব। যাদের হয়তো কিছু হয়নি, ফিরে এসেছে। ট্রমায় ভুগছে। তাঁদের আমরা প্রথমে ১০ হাজার টাকা দেব। তারপর ৪ মাস ২ হাজার টাকা করে পরিবার প্রতি তারা পাবে। কারও হাত বাদ গিয়েছে, কারও পা বাদ গিয়েছে। অর্থব হয়ে গিয়েছে। তারা কী করবে? তাঁদেরও পরিবারের একজনকে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি দেব’।
১২ বছর পার। জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার সময়ে রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা। এদিন সেই প্রসঙ্গে টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমিও জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছিলাম। কোনও ফল হয়নি। সিবিআই অপরাধের তদন্ত করে, এটা দুর্ঘটনা। রেলওয়ে সেফটি কমিশন আছে। তাঁদের তাড়াতাড়ি তদন্ত শেষ করতে হবে। আমরা চাই, মানুষ সত্যটা জানুক। তর্ক-বিতর্কে যাব না। আমি চাই, যাঁরা সব হারিয়েছে, তাদের পাশে দাঁড়াতে’। এদিন আহতদের দেখতে যান এসএসকেএমেও যান মমতা।