Balasore Train Accident: শনাক্ত করল একজন, দেহের দাবি অন্যজনের! ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের পরিচয় নিয়ে গোলমাল – confusion in identification of one victim of balasore train accident two families demand one body


গত শুক্রবার বালেশ্বরের কাছে বাহানাগা স্টেশনের কাছে ঘটে তিন দশকের সব থেকে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। একসঙ্গে দুর্ঘটনার মুখে তিনটি ট্রেন। দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রেনগুলির সিংহভাগ যাত্রী ছিলেন বাংলার। এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় মৃত ২৭৫ জনের মধ্যে ৬২ জনই এরাজ্যের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। শনাক্ত করা যায়নি এমন দেহের সংখ্যাও কম নয়। লম্বা নিখোঁজের তালিকা। এরই মাঝে দেহ শনাক্তকরণ নিয়ে বাঁধল গোল।

Balasore Train Accident: ‘করমণ্ডলে বিপর্যয়’-এ মৃতদের ছবি থেকে জরুরি সব ফোন নম্বর-তথ্য, পোর্টালে আপলোড রাজ্যের

শুক্রবার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় উদ্ধার হওয়া একটি মৃতদেহ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াল হাওড়া ও উত্তর দিনাজপুরের দুটি পরিবারের মধ্যে। প্রশাসন সূত্রে খবর জগৎবল্লভপুরের গোবিন্দপুরের পরিবারের দাবি, মৃতদেহটি জাহাঙ্গীর মিদ্দা (৪২) এর। অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুরের করনদীঘির পরিবারের দাবি, মৃতদেহটি আনজারুল হকের।আর দুটি পরিবারের মৃতদেহ বিভ্রান্তি দূর করতে প্রশাসনের উদ্যোগে মৃতদেহটি উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিকেল কলেজে রাখা হয়েছে।

Balasore Train Accident: লাগেজ থেকে মোবাইল সবই মিলেছে, শুধু খোঁজ নেই মালিকের! CRPF জওয়ানকে নিয়ে প্রার্থনা পরিবারের

জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরু থেকে যশবন্তপুর এক্সপ্রেসে বাড়ি ফেরার সময় বালেশ্বরের কাছে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় জগৎবল্লভপুরের বাসিন্দা জাহাঙ্গীরের। এরপরেই মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে ভুবনেশ্বরে গিয়ে মৃতদেহ শনাক্ত করার পর সোমবার সকালে মৃতদেহ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় পরিবারের সদস্যরা। এদিকে সোমবার দুপুরে মৃতদেহ নিয়ে জগৎবল্লভপুরের উদ্দেশে যাওয়ার সময় কোলাঘাটের কাছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাহাঙ্গীরের মৃতদেহ আটকে দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যদের মৃতদেহ নিয়ে বিভ্রান্তির বিষয়টি জানানো হয়। এরপর মৃতদেহটি উলুবেড়িয়া মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসা হয়।

Odisha Train Accident : করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চা বিক্রি করতে গিয়ে হল না ঘরে ফেরা! মর্মান্তিক পরিনতি শ্যামপুরের পিনাকীর

মৃত জাহাঙ্গীর মিদ্দার ভাই তহিদ মিদ্দা জানান, ”ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর ভাইয়ের খোঁজে শনিবার বালেশ্বরে পৌঁছে গিয়েছিলাম। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পর অবশেষে রবিবার ভুবনেশ্বরে এইমসে গিয়ে ভাইয়ের মৃতদেহ শনাক্ত করি।” তিনি জানান, ”সোমবার ভাইয়ের মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি আসার সময় কোলাঘাটের কাছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের অ্যাম্বুলেন্স আটকানো হয়। আমাদের জানানো হয় এই মৃতদেহ নিয়ে অন্য একটি পরিবারও দাবি জানিয়েছে।” তহিদ মিদ্দা জানান, ”আমরা নিশ্চিত মৃতদেহটি জাহাঙ্গীরের। যত দ্রুত সম্ভব মৃতদেহ শনাক্তকরনের কা্জ সম্পন্ন করে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার আবদেন জানান তহিদ মিদ্দা।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *