Balasore Train Accident Victim: অসম্পূর্ণই রইল নতুন বাড়ির স্বপ্ন, কোন্নগর ফেরার পথেই সব শেষ – hooghly woman died in balasore train accident when returning alone without her husband


ওডিশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু হুগলির বাসিন্দা সুনীতি রাওয়ের(২৫) এর। ওডিশার ভদ্রক থেকে বেঙ্গালুরু হাওড়া এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন যুবতী। করমণ্ডলের সঙ্গে দুর্ঘটনায় পরে সেই ট্রেন।যুবতীর স্বামী রহিত রাওয়ের সঙ্গে ভদ্রকে এক বন্ধুর বিয়েবাড়ি গিয়েছিলেন। ভদ্রকেই তাদের বাড়ি তৈরী হচ্ছে। সেই কাজ দেখা শোনার জন্য রহিত সেখানে থেকে যান। যুবতী একাই ট্রেনে করে হাওড়া ফিরছিলেন। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তার প্রাণ কেড়ে নেয়। রবিবারই তাঁর আত্মীয় পরিজনরা বালেশ্বরে পৌঁছে দেহ শনাক্ত করেন আর সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

Balasore Train Accident: লাগেজ থেকে মোবাইল সবই মিলেছে, শুধু খোঁজ নেই মালিকের! CRPF জওয়ানকে নিয়ে প্রার্থনা পরিবারের

জানা গিয়েছে, শ্রীরামপুর চাতরা এলাকায় অপর্ণা রাওয়ের সঙ্গে থাকতেন সুনীতা।বছর দেড়েক আগে এক বন্ধুর বিয়ে বাড়িতে গিয়ে রহিতের সঙ্গে তার পরিচয়।তারপর দুজনে বিয়ে করেন।কোন্নগর কানাইপুর বাসাইতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ভদ্রকে নতুন বাড়ি তৈরী হচ্ছে, সেখানেই দুজনে স্থায়ী ভাবে থাকার পরিকল্পনা ছিল।তার আগেই মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনা সব স্বপ্ন শেষ করে দিল। রিষড়া বাগখালে মারেয়ারী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল।

অ্যাসোসিয়েশানের কর্মকর্তা প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর অশোক দেওটিয়া বলেন, ”আনন্দ রাও আমার কাছে কাজ করেন।আনন্দ সুনীতার মাসির ছেলে। ওর থেকে জানতে পেরে আমরা রিষড়া পুরসভার চেয়ারম্যান রিষড়া থানার সঙ্গে কথা বলি।তারা সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন।মৃতদেহ নিয়ে আসতে চাইলে সব রকম ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলে জানান তারা। ওডিশার মারোয়ারী সোসাইটি শাখার সাহায্য দেহ সৎকার হয়েছে। সুনীতার মা এখন বেঙ্গালুরু থাকেন। বিয়ের পর থেকে সুনীতা কানাইপুরেই থাকত। ভদ্রকে যাতায়াত করত।”

Balasore Train Accident: শনাক্ত করল একজন, দেহের দাবি অন্যজনের! ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের পরিচয় নিয়ে গোলমাল

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওডিশার বালেশ্বরের কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মুখোমুখি হয় একসঙ্গে তিনটি ট্রেন। বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে মালগাড়িতে গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে শালিমার চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ১২৮ কিমি বেগে এক্সপ্রেসটি ট্রেনটি ধাক্কা মারে লুপ লাইনে আকরিক লোহা বোঝাই মালগাড়িতে। ধাক্কার তীব্রতায় খেলনা গাড়ির মতো ট্র্যাকে থেকে ছিটকে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে করমণ্ডলের কামরা। লাইনচ্যুত বগির আঘাতে ডাউন লাইনে আসা যশবন্তপুর হাওড়া সুপারফার্স্টের শেষ চার বগিও বেলাইন হয়ে যায়। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৭৮-এ পৌঁছে গিয়েছে। আহতের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *