Bangaon Bomb Blast : শৌচাগারে বোমা বিস্ফোরণ! বনগাঁয় মৃত ১১ বছরের কিশোর – bangaon minor died in bomb blast inside bathroom


এখনও ঘোষণা হয়নি পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। ভোট ঘোষণার আগেই বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। এবার বোমা বিস্ফোরণের মৃত্যু হল বছর এগারোর এক কিশোরের। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার বকশি পল্লী এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। শৌচগারের ভিতর বোমা মজুত ছিল বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

স্থানীয়দের দাবি, সোমবার সকালে রাজু রায় নামে ওই কিশোর শৌচাগারে শৌচকর্ম করতে যায়। তখনও বিকট শব্দে সেখানে মজুত বোমা বিস্ফোরণ হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই কিশোরকে শৌচাগার থেকে বের করেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

Malda News : ফের বোমা বিস্ফোরণ রাজ্যে! মাঝরাতে বিকট শব্দে কেঁপে উঠল চাঁচল
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। বোম্ব স্কোয়া়ডকেও খবর দেওয়া হয়েছে। একটি কালো পলিথিনের প্যাকেটে শৌচাগারের ভিতর বোমা মজুত করা ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। কোথা থেকে ওই বোমা এল এবং কী ভাবে তাতে বিস্ফোরণ হল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এলাকাবাসীদের দাবি, ওই সুলভ শৌচগারের ভিতরে বোমা মজুত করা ছিল। সকালে ওই বালক শৌচগারে যেতে কোনওভাবে চাপ পড়ে সেখানে মজুত থাকা বোমায় বিস্ফোরণ হয়। এলাকাবাসীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় রমরমিয়ে বেআইনি মাদকের ব্যবসা চলছে। পুলিশ-প্রশাসনের কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই। শৌচাগাকে বোমা মজুতের পিছনে বেআইনি মাদক ব্যবসায়ীরা থাকতে পারেন বলেও দাবি করছেন অনেকে।

Nadia Bomb Blast : তৃণমূল নেতার আত্মীয়ের বাড়িতে বিস্ফোরণ! উড়ল বাড়ির ছাদ, আতঙ্ক
কিশোরের বাবা প্রশান্ত রায়ের দাবি, ‘আমার ছেলে স্থানীয় একটি সাইকেলের দোকানে কাজ করত। এদিন সকালে ওই শৌচাগারে সে শৌচকর্ম করতে গিয়েছিল। বিকট শব্দ শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ছেলে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।’ ছেলের মৃত্যুর পর কান্নায় ভেঙে পড়েছেন রাজুর মাও। তিনি পুলিশ নিষ্ক্রিয়তার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।

Nadia Chapra Blast : ‘সত্য আড়াল করা হচ্ছে…’, চোপড়ার ঘটনাতেও NIA তদন্তেই ভরসা বিজেপির
রাজু যে দোকানে কাজ করত, সেই দোকানের মালিক বলেন, ‘আজ আমার দোকানে কাজ করতে আসেনি। সকালে বাথরুমে ঢুকতেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে শুনলাম। আমরা তো খুবই অবাক হয়ে গিয়েছি। আমাদের এলাকা দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বাড়ছে রোজ। পুলিশ প্রশাসন ঠিকভাবে কাজ করছে না।’ কাজল অধিকারী নামে স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘সারা রেললাইন জুড়ে হেরোইনের ব্যবসা চলে। আমাদের বাড়ি থেকে সাইকেল মোবাইল চুরির চেষ্টা হয়েছে। কখনই আমার ঘর খোলা রেখে যেতে পারি না। ওঁরা বলে প্রশাসন ওঁদের কিছু করতে পারবে না, কারণ পুলিশকে নিয়মিত টাকা দেওয়া হয়। আমরা এখানে শান্তিতে থাকতে পারছি না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *