পাটনার IAS অফিসার টুকটুক ঘোষের বোন ইতিহাসের অধ্যাপিকা ও বিহারের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের শিক্ষা দফতরের বিশেষ সহায়িকা পাপিয়া ঘোষ ও তার বৃদ্ধা পরিচারিকাকে খুনের ঘটনায় যুক্ত এই আসিফকে জেরা করে পুলিশ ব্যারাকপুর কাণ্ডে আরও কিছু তথ্য পেতে চাইছে।
ইতিমধ্যে পুলিশের হাতে এই ঘটনায় আগেই গ্রেফতার হয়েছে সফি খান এবং জামসেদ আনসারি। তারা ঘটনার পরপরই গ্রেফতার হলেও আসিফের মতো কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে পুলিশ খুঁজছিল। এহেন আসিফ ধরা পড়ায় তদন্ত যেমন অনেকটা সফলতা পাবে, তেমনি আরও নতুন কিছু তথ্য উঠে আসবে বলে পুলিশ মনে করছে।
এদিকে, রবিবারই আসিফকে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে নিয়ে আসা হয়। তাকে শনাক্তকরণের জন্য আদালতে পুলিশের তরফে আবেদন করা হয়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। সোমবার ব্যারাকপুর সাব জেলে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তাকে শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া হওয়ার কথা।
সূত্রের খবর, শনাক্তকরণের জন্য নিহত নীলাদ্রির বাবা নীলরতন সিংহ সহ ঘটনার দিন দোকানে অন্য কর্মচারী যারা ছিলেন তাদের ডাকা হয়েছে। শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর তাকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।
ব্যারাকপুর সিটি পুলিশের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক এই বিষয়ে জানান, “গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে পাটনায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়, তাতেই ওই দুষ্কৃতী গ্রেফতার হয়। এর জন্য বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছিল। ওই দুষ্কৃতী গ্রেফতার হওয়ার পরে এই তদন্ত অনেকটাই গতি পাবে।”
কিছুদিন আগে বুধবার ভরসন্ধ্যায় ব্যারাকপুরের একটি সোনার দোকানে ডাকাতরা হামলা করে। ডাকাতি করতে এসে বাধা পেলে গুলি চালায়। আর সেই গুলি লেগে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন মালিকের ছেলে। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং।
তারপরই তড়িঘড়ি দু’জনকে আটক করা হয়। সোনার দোকানে ডাকাতদের হানা এবং গুলিতে মৃত এবং আহত হওয়ার এই ঘটনায় তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।