অ্যাডমিট কার্ডে তাঁর নামের পাশে মেল অর্থাৎ পুরুষ লেখা থাকায় পরীক্ষাকেন্দ্রে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। স্কুলের ভেনু ইনচার্জ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তাদের জানিয়েও পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে পারেননি তিনি। অন্যান্য প্রমাণপত্র ঠিক থাকলেও সামান্য ভুলের কারণে পরীক্ষা দিতে না পারায় কাঁদতে শুরু করেন টুম্পা।
তিনি বলেন, “ফর্ম ফিলাপের সময়ে ফিমেলের জায়গায় যে মেল করা হয়েছিল, লক্ষ্যই করিনি।” অন্য দিকে, প্যান্টের গোপন পকেটে মোবাইল ফোন নিয়ে কলকাতা পুলিশের রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের পরীক্ষা দিতে এসে শ্রীঘরে দক্ষিণ দিনাজপুরের ২৩ জন পরীক্ষার্থী। জেলার পতিরাম যামিনী মজুমদার কলেজের ২২ জন এবং তপনের এক পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।
এঁদের বিরুদ্ধে পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে গোপনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে আসায় বিহারের দুই যুবককে হাতেনাতে পাকড়াও করেছে পতিরাম থানার পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানান ডেপুটি পুলিশ সুপার।
বালুরঘাট সদর ডিএসপি সোমনাথ বলেন, “প্যান্টের ভেতরে কাপড় সেলাই করে গোপন পকেট বানিয়ে তাতে লুকিয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে এসে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন বেশ কয়েক জন পরীক্ষার্থী। তাঁদের হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়েছে। শুধুমাত্র পতিরাম ও তপন থেকে মোট ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি, ভুয়ো পরীক্ষার্থী সেজে আসায় বিহারের দুই যুবককে আটক করা হয়েছে।”