প্রশাসন অনুমতি দিয়েও পরে তা বাতিল করে দেওয়া হয় বলে দাবি। এরপর এই সভা হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। উৎকণ্ঠায় ছিলেন বাম কর্মী, সমর্থকরা। সোমবার বিকেলে বারাসাত সিপিআইএম পার্টি অফিসে জেলা সম্পাদক মিনাল চক্রবর্তী জানালেন, “আগামীকাল তাদের ঐতিহাসিক সমাবেশ কোর্টের নির্দেশে হয়েছে।”
জেলা সম্পাদক মিনাল চক্রবর্তী আরও বলেন, “মানুষের জীবন জীবিকার দাবিতে এবং পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার দাবিতে আমরা জেলা জুড়ে স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি নিয়েছি। এর শেষে গিয়ে কাছারি ময়দানে আমরা একটা সমাবেশ করছি।” তিনি অভিযোগ করেন, জেলা শাসকের সভা বাতিলের নির্দেশ আদালত খারিজ করে দিয়েছে, এর থেকে বোঝা গেল, তৃণমূলের দলের চাপেই এই কাজ করছিলেন এই আধিকারিকরা।
মঙ্গলবার বেলা তিনটে থেকে সাতটা পর্যন্ত সমাবেশের ডাক দিয়েছে বামেরা। যদিও বারাসতে সভা নিয়ে আগে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কাছারি মাঠে সভা করার জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন এডিএম। তবে পরে সেটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এদিকে বামেদের সব রকম প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছিল এই সভা নিয়ে। সে কারণে এই সভা শেষ মুহূর্তে বাতিলের বিষয়টিতে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করে নেতৃত্ব।
তবে এদিন আদালতে রাজ্য সরকারের আইনজীবীর তরফে যুক্তি দেখান হয়, এই মাঠের পাশেই রয়েছে বারাসত জেলা আদালত। তাছাড়া কাছেই রয়েছে জেলা শাসক দফতর। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক সভা হলে প্রশাসনিক কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। ২০১৭ সাল থেকে ওই ময়দানে সভা করার অনুমতি ছিল না। যদিও দুপক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর শর্তের ভিত্তিতে সভা করার অনুমতি দেয় আদালত।
সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারের সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব। সভা উপলক্ষে গত কয়েক মাস ধরে জেলা জুড়ে মিছিল, মিটিং, প্রচার সংগঠিত করা হয়েছে। জনসভা সফল করতে সমস্ত প্রস্তুতিই সেরে ফেলেছে সিপিএম জেলা নেতৃত্ব।