এছাড়াও এদিন তিনি আরও বলেন, “এখনও পর্যন্ত বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ১৫ জন ভর্তি হয়েছেন, তার মধ্যে দু’জনকে যেমন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তেমনি দু’জনের আঘাত গুরুতর রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আহত প্রত্যেকের কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে”।
‘অভিশপ্ত’ ওই ট্রেনের যাত্রী ছিলেন চেন্নাইয়ে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতে যাওয়া আকাশ দুলে, মিঠুন ভুঁইয়া, কাঞ্চন দুলেরা। সেদিনের কথা বলতে গিয়ে আকাশ দুলে বলেন, “দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের সদস্য আমরা। এই রাজ্যে কাজের সুযোগ নেই। আর সেই কারণে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে হচ্ছিল।
ওই রেল দুর্ঘটনায় চোখের সামনে অনেককে মারা যেতে দেখলেও কোনওরকমে আমরা বেঁচে ফিরেছি”। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমরা সবাই ট্রেনে যেতে যেতে গল্প করছিলাম। হঠাৎ মারাত্মক ঝাঁকুনি দিয়ে ট্রেনটা দুলে ওঠে, আর দেখি ট্রেন রেললাইন থেকে নেমে গড়িয়ে যাচ্ছে। নিয়ে একটা জায়গায় গিয়ে আটকে যায়। পিঠে ও পায়ে মারাত্মক আঘাত পাই।
উঠতে পারছিলাম না। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে আমাদের উদ্ধার করেন”। একই সঙ্গে ওই ট্রেনে যাত্রী ছিলেন নার্সিং পড়ুয়া স্মৃতি মণ্ডলও। তিনিও আহত অবস্থায় এই হাসপাতালে ভর্তি। তবে সুস্থ হয়ে ফের বিশাখাপত্তনমের নার্সিং কলেজে ফিরে যাবেন বলে তিনি জানান।
বলেন, “বিশাখাপত্তমের নার্সিং কলেজে ভর্তি হয়েছি। পড়াশোনা করি সেখানে। কয়েকমাস পরপর বাড়িতে যাতায়াত করি। বাড়িতে কিছুদিনের ছুটি কাটানোর পর সেদিন আবার ফিরে যাচ্ছিলাম। এরকম ভাবে দুর্ঘটনা ঘটবে স্বপ্নেও ভাবিনি। তবে সুস্থ হয়ে ওঠার পর আবার বিশাখাপত্তনমে ফিরে যাব”।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, যে দুজনের মারাত্মক ভাবে আঘাত রয়েছে, এই মুহূর্তে তাঁদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করার প্রয়োজন নেই। তবে আরও বেশ কিছুদিন তাঁদের হাসপাতালে পর্যবেক্ষণের মধ্যে থাকতে হবে।