পাশাপাশি, ট্রেন দুর্ঘটনার চারদিন পরেও এখনও পর্যন্ত কোনও হদিশ না মেলায় ক্ষোভ সোনারপুরের দুই যুবকের পরিবারের। বাড়ির গয়না বন্ধক দিয়ে, এলাকার মানুষের থেকে আর্থিক সাহায্য নিয়ে দুই পরিবারের সদস্য দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির ছেলের খোঁজ করছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি।
সোনারপুর দক্ষিন বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক লাভলী মৈত্র আজ এই দুই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান। বিধায়কের সামনে কখনও কান্নায় কখনও ক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা। তাঁদের বক্তব্য, সরকারের আর্থিক সাহায্য তাদের প্রয়োজন নেই। দরকার বাড়ির ছেলের খোঁজ। যে কোনওভাবেই হোক জীবিত বা মৃত তাঁদের ছেলের খোঁজ এনে দেওয়া হোক।
প্রাথমিকভাবে দুই পরিবারের থেকে জানা গিয়েছে রাজমিস্ত্রীর কাজে সাহায্যের জন্য তাঁরা রওনা দিয়েছিলেন। যেই ঠিকাদার তাঁদের নিয়ে যাচ্ছিল তিনি তাদের জন্য জেনারেল টিকিট কেটে জেনারেল কামরায় তুলে দেন। দুজনেই জেনারেল কামরায় ছিল বলে জানা গিয়েছে।
বিধায়ক জানান, এই দুই পরিবারের পাশে তারা আছেন। প্রশাসনিকভাবে তারা খোঁজ খবর শুরু করেছেন বলে জানান তিনি। তবে বাংলা থেকে এত পরিযায়ী শ্রমিক ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ নিয়ে তার বক্তব্য এখন রাজনীতি করার সময় নয়।
পরিবারের তরফে জানান হয়, তাঁদের একাধিকবার ফোন করা হয়েছে। কিন্তু ফোন কোনও সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। গত দুদিন ধরে বালেশ্বরের কাছে বহু জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা হয়েছে। কিন্তু কোনও জায়গায় তাঁদের খোঁজ মেলেনি। এতেই উৎকণ্ঠায় রয়েছে পরিবার। যে কোনও ভাবে তাঁদের ছেলেদের খোঁজ দেওয়া হোক বলে আর্জি পরিবারের সদস্যদের।
গত শুক্রবার রাতে বড়সড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। একটি মালগাড়ি সঙ্গে ধাক্কা লেগে বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। পাশের লাইনে পড়ে বগি গুলি। সেই লাইনেও একটি ট্রেন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। আড়াইশো উপর লোকের প্রাণহানি হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পুনরায় ওডিশায় যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।