Bharatiya Janata Party : নিষ্ক্রিয় কর্মীদের ফের মাঠে নামাতে সম্মেলন বিজেপির – west bengal bjp conference to bring inactive workers back to field


এই সময়: পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের নিষ্ক্রিয় পুরনো কর্মীদের মাঠে নামানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে। তাই প্রতিটি জেলায় পুরোনো কর্মীদের নিয়ে সম্মেলন করবে বিজেপি। সম্প্রতি আলিপুরে জাতীয় গ্রন্থাগারের প্রেক্ষাগৃহে বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠকে পুরনো কর্মীদের কেন বসিয়ে রাখা হয়েছে, তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

সূত্রের খবর, রুদ্ধদ্বার ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতেই দিলীপ দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কাঠগড়ায় তুলে বলেছিলেন, “আমি জেলা সফরে বেরিয়ে দেখেছি, পুরনো কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের বসিয়ে রাখা হয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে যে কর্মীরা বুথ আগলে লড়াই করেছিলেন, দল সেই কর্মীদের ব্রাত্য করে রেখেছে। আমার সময়ে সংগঠন যে স্তরে পৌঁছেছিল, তা এখন নেই।”

BJP West Bengal : চার মাসে হাজার সভা, বঙ্গ বিজেপিকে রিমাইন্ডার
দিলীপের এই অভিজ্ঞতাকে উড়িয়ে দেননি সুনীল বনসল, মঙ্গল পান্ডের মতো বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। সেদিনই রাজ্য কমিটির বৈঠক শেষে জেলা সভাপতিদের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন বনসল। কোন জেলায় কত কর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে আছেন, কেন তাঁদের নতুন কমিটিতে ঠাঁই দেওয়া হয়নি, জেলা সভাপতিদের তার বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলেন তিনি।

এরপরই দলীয় স্তরে সিদ্ধান্ত হয়, যেভাবে হোক পুরনো কর্মীদের সক্রিয় করে তুলতে হবে। তাঁদের সসম্মানে ফিরিয়ে আনতে হবে পার্টিতে। বনসল রাজ্য নেতাদের নির্দেশ দেন, প্রতিটি জেলায় পুরনো কর্মীদের নিয়ে সম্মেলন করতে হবে।

Bengal BJP : বামেদেরও নিশানা করার নিদান এবার বিজেপি নেতৃত্বের
দিলীপ ঘোষ বলেন, “পুরনো কর্মীদের সম্মেলন কর্মসূচি শুরু হয়ে গিয়েছে। আমি নিজেও কয়েকটি সম্মেলনে অংশ নিয়েছি। যাঁরা বর্তমানে দলের কোনও কমিটিতে নেই, অথচ বিজেপির সংগঠন শক্তিশালী করার জন্য একসময় পরিশ্রম করেছেন, তাঁদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি।”

রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপির পুরোনো কর্মীদের সম্মেলন কর্মসূচি সফল হলে রাজনৈতিকভাবে সব থেকে বেশি লাভবান হবেন দিলীপই। কারণ, নিষ্ক্রিয়দের তালিকায় রাজ্য এবং জেলাস্তরে তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতাদের সংখ্যাই বেশি। দিলীপ বিজেপির রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন তাঁর ঘনিষ্ঠ দুই নেতা সায়ন্তন বসু এবং রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় দলে খুবই প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিলেন।

Bharatiya Janata Party : বিস্তারকের সন্ধানে পদ্ম, স্পেশাল অফার ঘোষণা
কিন্তু সুকান্ত মজুমদারের জমানায় তাঁদের কার্যত ছেঁটে ফেলা হয়েছে দলের ভরকেন্দ্র থেকে। বঙ্গ-বিজেপির এক পদাধিকারীর কথায়, “বিজেপিতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর কমিটি পরিবর্তন হয়। নতুন নেতা তৈরি হয়। সবাইকে সেটা মেনে চলতে হয়। কেউ অভিমান করে ঘরে বসে গেলে কারও কিছু করার নেই। তবুও আমরা চেষ্টা করছি।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *