গত সোমবার দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনে পেট্রাপোলে, ১৪৫ বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের জওয়ানরা ৪৩৫ টি হাত ঘড়ি সহ ২ জন বাংলাদেশি আটক করে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ঘড়ি অবৈধভাবে ভারতে আনার চেষ্টা করছিল তারা। পেট্রাপোলের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে কর্তব্যরত BSF জওয়ানরা সন্দেহভাজন বাংলাদেশি যাত্রীকে দেখেন। কর্তব্যরত জওয়ানরা যাত্রীদের থামিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তাদের লাগেজ তল্লাশি করে। সেখানে তাদের উপর সন্দেহে আরও বাড়ে।
তল্লাশির সময় তাদের ব্যাগ থেকে ৪৩৫ টি হাতঘড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়। যাত্রীদের কাছে ঘড়ির কাগজপত্র চাওয়া হলে তারা কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি এবং আইনি কাগজপত্রও দেখাতে পারেনি। এরপর বিএসএফ জওয়ানরা তাদের আটক করে। তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় ধৃতরা জানায়, ঢাকা থেকে কলকাতায় আসায় সময় ঢাকার বাসিন্দা সুফিয়ান নামে এক যুবকের সঙ্গে তাদের আলাপ হয়। তাদের কাজ ছিল ভারতে পৌঁছে এই ঘড়িগুলো কলকাতার এক ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করতে হবে। এই কাজের জন্য তাকে প্রতি ঘড়ির জন্য ২০ টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেওয়া হয়। কিন্তু, বিএসএফ জওয়ানরা তা সফল হতে দেয়নি। যদিও এত কম টাকার জন্য এই কাজ কেন তারা হাতে নিয়েছিলেন তাও চিন্তা বাড়িয়েছে BSF-রা।
এ প্রসঙ্গে বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি এ কে আর্য এই সময় ডিজিটাল-কে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি ঘড়িগুলি ২০ হাজার থেকে কয়েক লাখ টাকা দাম। সবই প্রায় অ্যান্টিক ঘড়ি। সবকটি ঘড়িই শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল, আমরা তা সফল হতে দিইনি। এ বিষয়ে আমরা আরও খোঁজ খবর নিচ্ছি।’
উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার সীমান্তে শীতকালে চাদর কিংবা জ্যাকেটের আড়ালে পাচারের নজির এখনও রয়েছে। বিএসএফ সূত্রে খবর, সীমান্তবর্তী জেলায় খুব কম জায়গায় কাঁটা তারের বেড়া নেই, সে সব জায়গা দিয়েও পাচারের চেষ্টা হয়ে থাকে। এছাড়াও নানা জায়গা থেকে নানাভাবে পাচারের চেষ্টা চলে। ডিআইজি বলেন, পাচার চেষ্টা আমরা সবভাবে আটকাতে সব সময় সচেষ্ট।