বুধবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেখানেই দিলীপ বলেন, “উনি ওড়িশা থেকে জোর করে আহতদের এখানে নিয়ে আসছেন। বাংলার লোক চিকিৎসা না পেয়ে ওড়িশা যায়। আর উনি ওড়িশা থেকে বাংলায় লোক এনে চিকিৎসা করবেন?”
দিলীপ ঘোষের অ্যন্তরীণ যোগ, AIIMS এর ডাক্তার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এসেছিল। তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আর উনি ওখানে গিয়ে ছবি তুলছেন। রাজ্যে এতো মানুষ মরছে, উনি কজনের বাড়ি গিয়েছেন?
মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “ওঁর কাছে কোনও কাজ নেই, ইমোশনাল কার্ড খেলা ছাড়া। সারা পশ্চিম বাংলায় বোমা ফাটছে, আগুন জ্বলছে। উনি কজনের বাড়ি গিয়েছেন? ওঁর কোনও নেতারা গিয়েছেন? কেবল ওই দুর্ঘটনা দেখিয়ে বেশি দিন রুটি স্যাঁকা যাবে না।”
তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুবাই যাত্রা নিয়েও কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। এখানেও ইমোশনাল কার্ড খেলা হচ্ছে বলে দাবি তাঁর। দিলীপ বলেন, ” শপিং করতে দুবাই কারা যায়? এ রাজ্যের কটা লোকের সেই ক্ষমতা আছে? বুঝতেই পারছেন, টাকা কার কাছে আছে। ২০০০ টাকার নোটগুলোও হয়তো ব্যবহার করতে হবে।”
লুক আউট নোটিশ জারি থাকা সত্বেও তিনি কেন বিদেশ যাচ্ছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দিলীপ। তাঁর কথায়, “সবাই জানে, তাঁর উপর লুক আউট নোটিশ আছে। বিদেশ যাওয়া বারণ আছে। কিন্তু যেটা উনি শো করতে চাইছেন, এবং ইমোশনাল কার্ড খেলতে চাইছেন, সেটা হল কোলে বাচ্চা।” নজর ঘোরাতেই এরকম ধরনের ইমোশনাল কার্ড খেলা হচ্ছে বলে মত তাঁর।
অন্যদিকে, ফের ২০ সেপ্টেম্বর রেল রোকো ডাক দিয়েছে কুড়মি আন্দোলনকারীরা। তাঁদের নেতাদের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তুলছেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে দিলীপ বলেন, “জঙ্গলমহল পিছিয়ে আছে। আমি ৫০ বছর ধরে দেখে আসছি বনধ, অবরোধ। এই আন্দোলনের জন্যই উন্নয়ন পিছিয়ে আছে। সরকারি অফিসে গিয়ে ধর্না দিন। জাতীয় সড়ক বা রেল আটকে দিলে সাধারণ মানুষ কষ্ট পায়।” এরকম আন্দোলন না করাই উচিত বলে জানান তিনি।