ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির অভিযোগ, সিউড়ির ১৫ নং ওয়ার্ডেই পুরাতন লাইন পাড়ার তৃণমূলের বুথ সভাপতির বাড়ির সীমানা দিয়ে নিয়ে যেতে হবে বিদ্যুৎ পরিষেবা। আর সেই কারণেই এই তৃণমূল নেতা দীর্ঘদিন ধরেই জোর পূর্বক গায়ের জোর খাটিয়ে বিদ্যুতের তার নিয়ে যেতে দিচ্ছে না। ফলে পরিষেবা পাচ্ছে না পরিবার গুলি।
এক পরিবারের সদস্য মামপি বিবি বলেন, “কারেন্ট দেওয়া হচ্ছে না। এখন বলা হচ্ছে যে ব্যক্তি বাধা দিচ্ছে তার শেষ সীমানা পাঁচিল পেরিয়ে করা হবে তাতেও আপত্তি করা হচ্ছে। সবমহলে জানিয়ে কোনও সুরাহা হয়নি। শুধু ভোটের সময় আমাদের ব্যবহার করা হচ্ছে।”
স্থানীয় বিজেপি নেতা দীপক দাস জানান, সিউড়ি পুরসভার অধীনে ১৪৮ নম্বর বুথে জন সাধারণের জন্য যে ইলেকট্রিক পোল ব্যাবহার হয়, সেটিকে অন্যায় ভাবে ব্যবহার করতে দিচ্ছে না। এটা কারও ব্যক্তিগত মালিকানা নয়। শাসক দলের হয়ে এরকম গা জোয়ারি মেনে নেওয়া যায় না।
যদিও ঘটনার কথা শুনেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী। তিনি কথা শুনেই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং দ্রুত সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করতে বলেন। প্রয়োজনে মাটির নিচে নিয়ে লাইন নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেন।
সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী বলেন, “আমাদের কারও বাড়িতে জল যাবে না, বিদ্যুৎ যাবে না, এটা হতে পারে না। সমস্যাটির কথা আমি শুনেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” আগামী শনি-রবিবারের মধ্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
যদিও পুরো ঘটনাটি কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলোতে বিদ্যুৎ পরিষেবা যাতে পৌঁছয় সে ব্যাপারে আর্জি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে বলে জানিয়েছে সিউড়ি পুরসভা।