দেশজুড়ে মোদী সরকারের ৯ বছর পূর্তি উদযাপন করছে বিজেপি। তার মধ্যেই ওডিশার বালেশ্বরে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে প্রায় তিনশো যাত্রীর। সরকারের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির বার্তা দিয়ে ওই দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু তাতে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করা যায়নি।
তৃণমূলের ব্যাখ্যায়, আসল ঘটনা ধামাচাপা দিতেই সিবিআই তদন্তের নাটক করা হচ্ছে। কার্যত একই অভিযোগ তুলছে অন্য বিরোধীরাও। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার দিনেই রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, এবার বিরোধীদের যাবতীয় আক্রমণের জবাব দিতে আসরে নেমেছে বিজেপির আইটি সেল। মোদী সরকারের সাফল্য প্রচার কর্মসূচির সঙ্গেই বিজেপি জুড়ে দিয়েছে ট্রেন দুর্ঘটনার পরে রেলমন্ত্রীর তৎপরতাকে। দুর্ঘটনার রাতেই রেলমন্ত্রীর বালেশ্বর যাওয়া, দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরুর বন্দোবস্ত করা এবং উদ্ধার শেষ না হওয়া পর্যন্ত অকুস্থলে থাকা—এ সব সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরে বিজেপি বোঝাতে চাইছে, বিপর্যয় মোকাবিলায় অশ্বিনী বৈষ্ণব কতটা আন্তরিক এবং তৎপর ছিলেন।
বিজেপির এক রাজ্য নেতার কথায়, “সোশ্যাল মিডিয়ায় রেলমন্ত্রীর ভূমিকার প্রংশসা করছেন অনেকেই। বিজেপি বিরোধী হিসেবে পরিচিত এমন অনেকেও রেলমন্ত্রীকে কুর্নিশ জানিয়ে টুইট বা ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। আমরা সেগুলি আরও বেশি করে প্রচার করতে চাইছি।”
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কখনও আমরা দেখলাম রেলমন্ত্রী ট্রেনের নীচে ঢুকে লাইন পরীক্ষা করছেন, কখনও তিনি ট্রেনের মাথায় চড়ে পরীক্ষা করলেন বিদুৎ সংযোগ ঠিকমতো হয়েছে কি না। ৫১ ঘণ্টা একই পোশাকে ছিলেন। এ রকম রেলমন্ত্রী ভারতের সম্পদ। ফলে এই রেলমন্ত্রীর উপর দেশের মানুষের ভরসা আছে। উনি ঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা করবেন।”
যদিও তৃণমূল মনে করছে, রেলমন্ত্রীর ঢাক পিটিয়ে বিজেপি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে। দলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নিজেই প্রচারসর্বস্ব। তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য অশ্বিনী বৈষ্ণব যে ওই পথেই হাঁটবেন, তাতে আর অবাক হওয়ার কী আছে! করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার দায়ভার কাঁধে নিয়ে রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত ছিল।”