এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “শুধু বাথরুম নয়। মুখ্যমন্ত্রীর বেডরুমে ও বাথরুমে দু’জায়গায় ঢুকবে CBI। যেখানে উনি টাকা লুঠ করে রেখেছেন। এখন এই যে ২ হাজার টাকার নোট দিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষদের সাহায্য করা হচ্ছে, এটা কি ধরনের প্রহসন? সামান্য মানবিকতা নেই। সুযোগ পেয়েছেন হাত ধুয়ে নিচ্ছেন। টাকা তো কোথায় আছে আমরা জানি। CBI সব জায়গায় পৌঁছাবে। CBI রেল দুর্ঘটনার তদন্ত করলে ওনার কষ্ট, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করলে ওনার কষ্ট, পুরসভার বেআইনি নিয়োগ নিয়ে তদন্ত করলে ওনার কষ্ট। এত কষ্ট কেন? আপনি সৎ হলে এত টেনশন নেওয়ার দরকার নেই।”
অভিষেকের স্ত্রীকে ED-র তলব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে দিলীপ বলেন, “CBI ED ডাকছে এটা নতুন কথা নয়। খবর এটা কতজন গ্রেফতার হচ্ছে। জাল গোটানো হচ্ছে। গ্রেফতারের খবরও আমরা পাব। ডাকাডাকি তো চলবে।”
বিভিন্ন পুরসভায় CBI তল্লাশি নিয়ে দিলীপ বলেন, “এর আগেও এই রাজ্যে ১০-১২ জায়গায় হানা হয়েছে। সারা দেশে এইরকম হানা চলছে বিভিন্ন সংস্থার দ্বারা। দুর্নীতি চরম জায়গায় পৌঁছেছে সব জায়গায়। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে। আর সেই দুর্নীতির অভিযোগ লোক আদালতে করছেন আর আদালত যেভাবে আদেশ দিচ্ছে তদন্ত সংস্থা সেইভাবে কাজ করছে। আমরা জানি চোখের সামনে বছরের পর বছর আমরা দুর্নীতি দেখেছি। সেগুলো সমাধানের একটা রাস্তা বেরিয়েছে। আমার মনে হয় অনেক লোক এর আওতায় আসবে, অনেক লোক গ্রেফতার হবে।”
সম্প্রতি ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “দুর্নীতির কারণে আমাকে পদত্যাগ করতে বলা হলে আমি বলব এই ট্রেন দুর্ঘটনার কারণে আগে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।” এই বক্তব্য ধরে কটাক্ষ করে দিলীপ বলেন, “কোনও ভদ্রলোককে কেউ পদত্যাগ করতে বলে না। উনি যদি মনে করেন ওনার পদত্যাগ করা উচিৎ তার মধ্যে কোনও নৈতিকতা আছে তাহলে ওনার পদত্যাগ করা উচিৎ। আমরা কেন দাবি করতে যাব? ওদের সবাই দু’কান কাটা। কার কথায় কে পদত্যাগ করেছেন? আমরা পদত্যাগের দাবি করে সময় নষ্ট করতে যাব না।”
রাজ্যের বকেয়ার দাবিতে দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছেন অভিষেক। সেই প্রসঙ্গে দিলীপের বক্তব্য, “ডাক দিচ্ছেন, যাচ্ছেন না কেন? এখানেই চোর চোর শুনতে হচ্ছে। ওখানে তো গাঁটকাটা, বাটপাড়, ডাকাত সবই শুনতে হবে। কারণ সারা দেশের লোক জেনে গিয়েছে এদের আসল চরিত্রটা কি। মুখোশটা খুলে গিয়েছে। ওনার পিসিমনি বলেছিলেন দিল্লি যাব। কিন্তু ধর্মতলাতেই ক্ষান্ত হতে হল। তিনদিন ওখানে বিশ্রাম নিলেন। উনি যদি যান উনি একাই যাবেন। কেউ ওনার সঙ্গে যাবে না। কোনও সাংসদ ওনার সঙ্গে যাবেন না কারণ সবাইকেই চোর চোর বলা হচ্ছে। দিদিকে যারা হাওয়া দিতে এসেছে আবার নামার কথা বলছে। কিন্তু দিদি বুঝে গিয়েছে মোদীর সামনে যাওয়া মানে মৃত্যুর সামনে যাওয়া। তাই এখানেই থাকুন। কিছু লোককে বোকা বানান খুশি থাকুন।”