লকেটের কথায়, “খারাপ লাগে, এমন দুর্নীতি করেছে স্ত্রী-শ্যালিকা, পরিবারকে যুক্ত করেছে। কালো টাকাকে সাদা করতে কোম্পানী করে জনতার টাকা লুট করে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।” নাম না করে তৃণমূলের সেকেন্ডে ইন কমান্ডকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি।
লকেট বলেন, “রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা। তাঁকে আমি সম্মান জানাই। কিন্তু তাঁকেও এই পাপের অংশীদার করা হয়েছে। লুক আউট নোটিশ থাকা সত্ত্বেও কী করে, একজন বিদেশে যেতে পারে সেটাও একটা প্রশ্ন চিহ্ন। এর থেকে পালানোর একটা ইঙ্গিত আমরা পাচ্ছি।”
অন্যদিকে, বুধবার একাধিক পুরসভায় হানা দিয়েছিল সিবিআই আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার সকালেই গোরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে বোলপুরের কালিকাপুর এলাকায় অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির পরিচারক বিদ্যুৎ বরণ গাইনের বাড়িতে যায় সিবিআই আধিকারিকরা।
এ বিষয়ে লকেট বলেন, “এটা হবেই। সায়গল থেকে একাধিক লোক নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল সন্ত্রাসের রাজ চালিয়েছে। দু’নম্বরির রাজ চালিয়েছে। কয়লা, গোরু পাচারের রাজত্ব করেছেন। গরীব মানুষকে যুক্ত করে টাকা সাইফোন করা হয়েছে।” লকেট জানান, আমরা চাই সাধারণ মানুষের টাকা যেভাবে লুট হয়েছে সিবিআইইডি তারা তদন্ত করে বের করুক, দোষীরা যেন শাস্তি পায়।
অন্যদিকে, একাধারে যেমন জেলায় জেলায় দলীয় স্তরে জনসংযোগ কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তেমনই সরকারি স্তরে এবার জনসংযোগ কর্মসূচিতে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ প্রকল্প চালু হতে চলেছে। এ বিষয়ে লকেটের মত, “আগে বারো বছরে নতুন করে যখনই নির্বাচন এসেছে তখনই দিদিকে বলো, সুরক্ষা কবচ, নবজোয়ার এসব হয়েছে। যখন দেখছে পুরনো নাম বদনাম হয়ে যাচ্ছে, তখন আবার নতুন করে নাম দিয়ে একটা কিছু আনা হচ্ছে। দিদিকে এত বলেছে তার কোনওটাই পূরণ হয়নি।”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরামবাগের সভা থেকে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে ধরনায় বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন দিল্লিতে। সেই প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যে এত দুর্নীতি আছে সেই তুলনায় আমরা যদি ধরনায় বসি কোনও বাস-গাড়ি চলবে না।” রাজ্যের একাধিক দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক আক্রমণ করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারা যাতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া তার ব্যাপারে আর্জি জানান তিনি।