এ দিন মমতা বলেন, “আমি কিছুই বলতাম না। ভেবেছিলাম বলব না। কিন্তু এত বড় দুর্ঘটনা! আমায় পরিস্থিতি বাধ্য করেছে। কী করে ধামাচাপা দেওয়া যায় সেই চেষ্টা চলছে। যে সব পরিবার সব কিছু হারিয়েছে, তারা জবাব চাইবে এদের কাছে।” তাঁর প্রশ্ন, “কী করে দুর্ঘটনা ঘটল? কেন এতজন মারা গেল? কোনও ক্রিমিনাল কেস হলে তো সিবিআই করবে। পুলওয়ামা দেখেননি? তখনকার জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল তো সত্যিটা বলে দিয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “আসল দুর্ঘটনার কোনও তদন্ত হলো না। সব সাফ হয়ে গেল। কোনও প্রমাণ নেই। আমি চাই প্রকৃত সত্য বাইরে আসুক।” রেলের ক্ষতিপূরণের অঙ্ক নিয়েও কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী— “ক্ষতিপূরণ দয়া করে দিচ্ছেন না। আমি রেলমন্ত্রী থাকার সময়ে ১৫ লক্ষ টাকা করে দিতাম। রেলের দায়িত্ব এটা দেওয়া। আমরা যা দিয়েছি, সেটা অতিরিক্ত। কারণ আমরা মানবিক। আপনারা আমার রাজ্যের মানুষ।”
মমতার কথায়, “আমরা চাই, যারা এই ঘটনার জন্য দায়ী তাদের শাস্তি হোক। রেল দুর্ঘটনার তদন্ত ধামাচাপা দিতে এজেন্সিকে পুরসভার জলের কল দেখাতে পাঠালে মনে রাখবেন, আগামী দিনটা কিন্তু ভয়ঙ্কর।” ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত ৩১ জনের পরিজনকে এ দিন ৫ লক্ষ টাকার চেক, এককালীন ১০ হাজার টাকা ও স্পেশ্যাল হোমগার্ডের চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। গুরুতর আহতদের ১ লক্ষ টাকা এবং জখমদের দেওয়া হয় ৫০ হাজার টাকার চেক।
চিকিৎসার খরচের জন্য এককালীন ১০ হাজার এবং সকলকেই আগামী তিন মাস দু’হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এ রাজ্যের মৃত ১০৩ জনের মধ্যে ৮৬ জনের দেহ পাওয়া গিয়েছে। ৪০-৫০ জন এখনও নিখোঁজ। দুর্ঘটনায় কোনও শিশুর মা-বাবা প্রয়াত হলে তার পড়াশোনার দায়িত্বও নেবে তাঁর সরকার।