শতাব্দীর অন্যতম বৃহৎ রেল দুর্ঘটনার পরের দিনই ঘটনাস্থলে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহত যাত্রীদের সঙ্গে, তাঁদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেন একাধিকবার। ঘটনার ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকারের তরফে একাধিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। এমনকি, রেল দুর্ঘটনা এড়াতে যে আরও সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন, সে ব্যাপারে সমালোচনাও করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।
ভয়ঙ্কর রেল দুর্ঘটনায় আড়াইশোর বেশি মানুষের মৃত্যু এবং হাজারেরও বেশি মানুষের কম-বেশি আহত হওয়ার ঘটনায় কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। সর্বস্তরের মানুষ এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন। ঘটনায় মর্মান্তিকতার বিষয়ে নিজের অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুলতে এবার কবিতা রচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৩ লাইনের এই কবিতায় তিনি তুলে ধরেছেন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাজার হাজার মানুষের অসহায়তা, পিতা-মাতা হারানো শিশুর আর্তনাদ, স্বজন হারাদের কথা। কবিতায় এক জায়গায় তিনি উল্লেখ করেন, ” দেহ কাটা – পুড়ে গেছে একেবারে শরীরগুলো। মাত্র পঞ্চাশ দিনের নব্য শিশু / ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে / মায়ের থানে, সাদা কাপড়ে।
অল্প বয়স থেকেই কবিতা লেখার শখ রয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এর আগে দেশের একাধিক মর্মস্পর্শী বিষয় নিয়ে কলম ধরেছেন তিনি। এর আগে মাতৃ দিবসের দিনেও তাঁর হাত থেকে উঠে এসেছিল মায়েদের নিয়ে কবিতা। এক জায়গায় তিনি লিখেছিলেন, “মায়ের ডাক আসল ডাক, পিছু ডাকলেও আশীর্বাদ।”
এর আগেও একাধিক রাজনৈতিক বা সামাজিক বিষয় নিয়েও তাঁর লেখা কবিতা তুলে ধরেছেন মানুষের সামনে। বছর তিনেক আগে অযোধ্যা রায় নিয়েও কবিতা লেখেন তিনি। তাঁর কলমে উঠে আসে “অনেক সময় কথা না বলেও অনেক কথা বলা হয়ে যায়। কিছু বলার থেকে না বলাটা আরো শক্তিশালী বলা..” এর মতো লাইন।
দিল্লির হিংসার ঘটনার সময় গর্জে উঠেছিল তাঁর কলম। কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষকদের আন্দোলনের সময় কৃষক সমাজের পাশে দাঁড়িয়ে কবিতা লিখেছিলেন তিনি। প্রতি বছর বইমেলাতে তাঁর লেখা কবিতার বই, প্রবন্ধের বই হট কেকের মতো উবে যায়। আবার একাধারে তাঁর কবিতা নিয়ে কটাক্ষও ছুড়ে দেন বিরোধীরা।