জানা গিয়েছে, লাভপুর ব্লকের চৌহাট্টা মহোদোরী-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের নবগ্রামে মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে ফলেছে দুর্মূল্য মিয়াজাকি প্রজাতির আম। এই আমের প্রতি কেজির বাজার চলতি দাম প্রায় আড়াই লাখ টাকা। এই দামি আমের ফলন নিয়ে জেলা জুড়ে শোরগোল। সরকারি প্রকল্পের জায়গায় এই দামি আমের ফলনের খবর মিলতেই লাভপুরের বিডিও সহ পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের আধিকারিকরা গাছটি দেখতে আসেন। সেখানে গাছটির নিরাপত্তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্বোধন করা এই মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে বিভিন্ন ফল-সবজির চাষ হয়। যাতে কাজ করেন MGNREGA-এর শ্রমিকেরা। এছাড়া উদ্যান পালন দফতরের তরফেও চাষের প্রক্রিয়া নিয়ে পরামর্শ ও সাহায্য করা হয়। লাভপুরের নবগ্রামে রয়েছে এমনই একটি মাটির সৃষ্টি প্রকল্প। সেখানেই এক মিয়াজাকি আম চাষের খবর মিলেছে।
সরকারি প্রকল্পে কীভাবে এই গাছ?
লাভপুর ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষামূলক ভাবে বাংলাদেশ থেকে একটি মিয়াজাকি আম গাছের চারা নিয়ে এসে রোপন করা হয়। মিয়াজাকি প্রজাতির আমের জন্মস্থান জাপান হলেও বাংলাদেশেও বর্তমানে এই আমের দেখা মিলছে। তাই পড়শি দেশ থেকে আনা হয় ওই দামি প্রজাতির আমের চারা। লাভপুরের বিডিও জানিয়েছেন, বাংলাদেশের একটি নার্সারি থেকে আনা হয় গাছটি। কয়েক বছরের যত্ন ও লালনের পর এবছরই এই গাছে এসেছে মুকুল।
জানা গিয়েছে, বসন্তে মুকুলে ভরে গিয়েছিল গোটা গাছ। পরে গাছটিতে ১৫টি আম ধরে। কিন্তু সপ্তাহখানেক আগের ঝড়বৃষ্টিতে গাছ থেকে পড়ে নষ্ট হয় বেশ কয়েকটি আম। বর্তমানে গাছে রয়েছে মোটে ছয়টি। যদিও তার দামও কম নয়।
নবগ্রামের ওই গাছটিকে আড়াল করতে জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিনই লাখ টাকার আমের খোঁজে লাভপুরের নবগ্রামে মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন প্রচুর মানুষ। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আপাতত আমগুলিকে কোনও মেলা বা প্রদর্শনীতে নিয়ে যাওয়ার ভাবনা রয়েছে। পরে তা নিলাম করা হবে বলেও জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর।