তিন ইডি কর্তার দিল্লিতে থেকে আসতে খানিক দেরি হওয়ার কারণে, রুজিরাও নির্ধারিত সময়ের কিছুক্ষণ পর সিজিওতে আসবেন বলে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন পাতার প্রশ্নমালা তৈরি করেছে ইডি। রুজিরার বিদেশযাত্রা নিয়ে প্রশ্নের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাঙ্ক লেনদেন সংক্রান্ত প্রশ্ন তাঁকে করা হতে পারে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে এই ‘হাই প্রোফাইল’ ইডি তলব ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে সিজিও কম্পলেক্স। সেখানে তুঙ্গে পুলিশি তৎপরতা। সিজিও সংলগ্ন রাস্তায় যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। গার্ডরেল দিয়ে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। সাদা পোশাকের প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সিজিও কম্পলেক্সে এদিন কোনও বাইরের গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। ইডি দফতরের ভিতরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্যদিকে কালীঘাটের হরিশ মুখার্জি রোডে অভিষেকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ‘শান্তিনিকেতন’-র সামনের ছবিটা প্রত্যেকদিনের মতো। সেখানে বিশেষ কোনও তৎপরতা চোখে পড়েনি। রোজকার মতো অভিষেকের বাড়ি পুলিশি গার্ডরেল দিয়ে ঘেরা অবস্থায় রয়েছে। বাড়ি থেকে এখনও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেরোতে দেখা যায়নি। এমনকী এখনও অবধি রুজিরার সিজিওতে যাওয়ার জন্য বাড়ির বাইরে কোনও গাড়ি প্রস্তুত করা হয়নি। অভিষেকের পরিবার সূত্রে খবর, ন্য়ায়বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে যেতে পারেন রুজিরা। মোটের উপর রুজিরাকে ইডির তলব নিয়ে সব মহলে আগ্রহ রয়েছে।
প্রসঙ্গত সোমবার কলকাতা বিমানবন্দরে দুই সন্তান সমেত রুজিরাকে দুবাইয়ের বিমানে উঠতে বাধা দেয় অভিবাসন দফতর। সেখানে তাঁকে ইডির তরফে নোটিশ দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ ইস্যু হওয়ার কারণে তাঁকে বাধা দেওয়া হয় বলে জানিয়ে দেন অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা।
রুজিরাকে ইডির তলব নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী-সন্তানকে গ্রেফতার করা হলেও আমি দিল্লির কাছে মাথা নত করব না।’ বিমাবন্দরে রুজিরাকে নোটিশ ধরনো নিয়ে ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, ইডির এই কাজ ‘অমানবিক’। মমতা জানিয়েছে, রুজিরা তাঁর অসুস্থ মাকে দেখতে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এখন রুজিরা কখন ইডি দফতরে যান, সেটাই এখন দেখার।