এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেছিলেন, “দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত কাউকে ছাড়া হবে না।” প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির OMR-এর ক্ষেত্রেও কারচুপির অভিযোগ ওঠেছে।
এবার এই সংক্রান্ত মামলায় বৃহস্পতিবার উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি বলেন, “৯০৭ ওএমআর কারচুপি’র ধরণ কী? এই ওএমআর প্রকাশিত করা যায়নি কেন?” তাঁর আরও সংযোজন, “এই OMR প্রকাশিত করা গেলে কবে যাবে, তা বিস্তারিত জানাতে হবে SSC-কে।” একইসঙ্গে CBI-কে ৯০৭ OMR কারচুপির তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ২৮ জুনের মধ্যে।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে একাধিক তথ্য উঠে এসেছে। এর আগে SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ED-র হাতে গ্রেফতার হন তিনি। অন্যদিকে, অভিনেত্রী তথা মডেল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকা।
এই ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যজুড়ে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য এরপর একাধিকবার দাবি করেছেন, দুর্নীতির সঙ্গে কোনওভাবেই তিনি যুক্ত নন। এই টাকা পয়সার বিষয়েও তিনি কিছু জানেন না।
অন্যদিকে, অর্পিতার পালটা দাবি ছিল, এই বিপুল অর্থ আদতে তাঁর নয়। তাঁর আইনজীবী আদালতে সরাসরি অভিযোগ তুলেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে। এই গোটা বিষয়টি বিচারাধীন।
পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে দিন দিন সুর চড়াচ্ছেন বিরোধীরা। BJP নেতাদের একাংশের কথায়, “রাজ্য়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দেদার দুর্নীতি হয়েছে। শুধু প্রাথমিক স্কুল বা হাই স্কুল নয়, পুর নিয়োগ দুর্নীতিতেও তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য। দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ নেই। স্বচ্ছভাবে শূণ্যপদগুলিতে নিয়োগের দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছে বিজেপি। কিন্তু, বর্তমান সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না।”
অন্যদিকে, তৃণমূল নেতাদের কথায়, “এজেন্সি রাজনীতি করছে বিরোধীরা। BJP সরকার এজেন্সির মাধ্যমে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। এতে আমরা কোনওভাবেই দমে যাব না। লড়াইয়ের ময়দান ছাড়ার প্রশ্নই ওঠে না।”