বিজ্ঞাপনে থাকা ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে শুভমকে ও পারের ব্যক্তি জানান, ঘর বুকিংয়ের জন্য আগাম তিন মাসের টাকা দিতে হবে। কিন্তু ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার পর ওই ঠিকানায় গিয়ে শুভম দেখেন, সেখানে কোনও মেস-ই নেই!
কোচবিহারের রিয়া দত্ত আবার নিউ টাউনের একটি কলেজে ভর্তি হওয়ার পর কাছাকাছি থাকার জন্য ওয়েবসাইটে খুঁজে একটি ফ্ল্যাট পছন্দ করেছিলেন। ফ্ল্যাটের ভাড়া হিসেবে আগাম তিন মাসের ভাড়া বাবদ ৩০ হাজার টাকা দিয়েও ফেলেন অনলাইনে। তিনি কলকাতায় এসে দেখেন, ওই ফ্ল্যাটটিতে আগে থেকেই তিন জন মহিলা ভাড়ায় থাকছেন!
উচ্চ-মাধ্যমিকের ফল বেরোনোর পর কলকাতার কলেজে ভর্তি হয়ে মেস বা ফ্ল্যাট পেতে গিয়ে এ ভাবেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকে। গত সাতদিনে বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে ৯ জন এমন প্রতারণার শিকার বলে বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রের খবর।
তদন্তে উঠে এসেছে, দালালদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করেই কিছু ফ্ল্যাট এবং মেসের ছবি সংগ্রহ করে তা ওয়েবসাইটে বা ফেসবুকে পোস্ট করা হচ্ছে। আবার সামাজিক মাধ্যমে বাড়ির মালিকেরই দেওয়া পোস্ট-এ তাঁর মোবাইল নম্বর কারসাজি করে কিছু সময়ের জন্য বদল করে দিচ্ছে প্রতারকরা।
‘দ্য ক্যালকাটা হাউস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক সুকুমার রক্ষিত বলছেন, “বহু বাড়ির মালিক এই বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন।” সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞ সন্দীপ সেনগুপ্তর মতে, “এখন প্রতারকদের টার্গেট হলো, উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে কলকাতায় পড়তে আসা বিভিন্ন জেলার ছেলেমেয়েরা।”
বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার অফিসারদের পরামর্শ, “ঘরের জন্য আগাম টাকা কাউকে দেবেন না। ঘর দেখে এবং তার মালিকের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তবেই এগোন।”