Power Outage In Kolkata : বিদ্যুৎ-বিভ্রাটে নাকাল নগরবাসী, যন্ত্রণা হেল্পলাইনও – kolkata suffering huge power outage helpline also suffer


এই সময়: গত কয়েক দিনে গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট। যাদবপুর, টালিগঞ্জ, বেহালা, দমদম, মধ্য হাওড়ার কিছু অংশ-সহ বহু এলাকায় সপ্তাহখানেক ধরে দিনে একাধিকবার দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকার অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দারা। এমনকী বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার খবর জানানোর জন্য সিইএসসি-র হেল্পলাইন নম্বরেও কল ঢোকেনি বলে অভিযোগ।

এ ব্যাপারে উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। বৃহস্পতিবার সিইএসসি-র আধিকারিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে সাত দিনের মধ্যে ফল্ট সমস্যা সমাধান করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, এ দিন মন্ত্রী সিইএসসি আধিকারিকদের কাছে জানতে চান, গত কয়েক দিনে ফল্ট কেন এত বেড়েছে। সিইএসসির তরফে তাঁকে জানানো হয়, অনেকে আগাম না-জানিয়ে বিদ্যুতের লোড বাড়িয়েছেন।

Power Cut in Kolkata : প্রবল গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট
সেই কারণে অনেক জায়গায় ট্রান্সফর্মারও বিকল হয়ে পড়ছে। এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে মন্ত্রী সিইএসসি-কে প্রচার কর্মসূচিতে নামতে নির্দেশ দিয়েছেন। কোনও জায়গায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার অভিযোগ পেলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন।

অরূপ বলেন, “বিদ্যুৎ পর্যাপ্ত রয়েছে। কোথাও লোডশেডিং নেই। অনেকে অনুমোদন ছাড়া বাড়তি লোড ব্যবহার করছেন। তাই কিছু কিছু জায়গায় প্রযুক্তিগত সমস্যা হচ্ছে।” পরে সিইএসসির এগজ়িকিউটিভ ডিরেক্টর অভিজিৎ ঘোষ বলেন, “মন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।”

Adani Power Supply To Bangladesh : গরম-লোডশেডিংয়ে নাজেহাল ওপার বাংলায় স্বস্তি ফেরাচ্ছে আদানি! বিরাট ঘোষণা ভারতীয় শিল্পপতির
আর ফোন না ঢোকা প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “চারটে নম্বরে আমরা একসঙ্গে ১ হাজার কল নিতে পারি। আমাদের কল সেন্টার ঠিকমতোই কাজ করছে।” যদিও অনেক গ্রাহকের বক্তব্য, রাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পরে সিইএসসির হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরেও ডকেট করা যায়নি। সিইএসসির অ্যাপে অভিযোগ জানানোর পর কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও সংস্থার কোনও মেরামত কর্মীর দেখা মেলেনি বলেও দাবি অনেক গ্রাহকের

গত বছর গরমে রাত ১২টার সময়ে সিইএসসি এলাকায় দৈনিক গড় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১,৯৪০ মেগাওয়াট। যা চলতি মাসের ১ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে বেড়ে হয়েছে ২,২৬৫ মেগাওয়াট। এই বাড়তি ৩২৫ মেগাওয়াটের চাহিদা প্রায় দেড় লক্ষ এসির লোডের সমান বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

Assam Electricity Bill : অসমে বিদ্যুতের দামবৃদ্ধির পথে সরকার, মাথায় হাত সাধারণ মানুষের!
যদিও সিইএসসির তরফে জানানো হয়েছে, তারা মার্চ থেকে মে-র মধ্যে ৪৫ হাজার এসির জন্য বাড়তি লোডের আবেদন পেয়েছে। তবে সাধারণ গ্রাহকদের বক্তব্য, গরমে লোড বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সিইএসসি তার মোকাবিলায় কোনও ব্যবস্থা তৈরি রাখেনি কেন?

এদিকে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আধিকারিকদের প্রতিদিন নেটওয়ার্কের অবস্থা সরেজমিন খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *