ঘাঘরঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র অশোক মাহাতো বলেন,”কুড়মি জনজাতির আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করে জেলবন্দী করে রাখা হয়েছে। অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে এবং সিআরআই জাস্টিফিকেশন এবং কমেন্টস পাঠানোর দাবিতে রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি যদি এই মুহূর্তে ওঁরা না পাঠান আমাদের নেতৃত্বদের অবিলম্বে যদি মুক্তি না দেয় তাহলে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে কুড়মি জনজাতির মানুষ যেহেতু ওই দলের সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন কুড়মি জনজাতির মানুষ তাদের ভোট দেয় না তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাদের ভোট দেওয়া হচ্ছে না।”
দ্বিতীয় দাবি হিসাবে তিনি আরও বলেন, “কুড়মি জনজাতির সংবিধানিক অধিকার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ জনজাতিগোষ্ঠী তারা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার আন্দোলনের বিরুদ্ধে লাগাতার কর্মসূচি করছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই বিশেষ জনজাতির কোন প্রার্থীকে আমরা ভোট দেব না।”
এছাড়াও তিনি আরো বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের ঘাঘর ঘেরা কর্মসূচিতে তিনি বলেছিলেন কুড়মি জনজাতির মানুষজন তৃণমূলকে ভোট দেয় না । তাই যে সমস্ত এলাকায় কুড়মি জনজাতি মানুষের বসতি আছে নিজেদের এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে তারা ভোটে অংশগ্রহণ করবে। আগামী দিনের আন্দোলনের জন্য ১১ জুন থেকে আমরা অর্থ সংগ্রহ শুরু করব।”
এসটির দাবিতে রাজ্য সরকারের কমেন্টস এন্ড জাস্টিফিকেশন পাঠানোর দাবিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিকবার আন্দোলন ঘোষণা করেছে কুড়মিরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কুড়মিদের ভোট কোন পক্ষে যাবে সেই প্রসঙ্গে অশোক মাহাতো বলেন, “আমাদের ভোটের মর্যাদা সুরক্ষিত রাখার জন্য আগামী ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমাদের বসতিপূর্ণ এলাকার মানুষজনেরা নিজেদের প্রার্থী ঠিক করে তাকেই নির্বাচিত করবে।”
অষ্টম তফসিলির অন্তর্ভুক্তি সহ একাধিক দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে কুড়মিরা। এর মাঝেই ঝাড়গ্রামে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের পিছনের অংশে হামলা চালানো হয়। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপরেই একাধিক কুড়মি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরেই রাজ্য সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করতে শুরু করে কুড়মিরা।