দেবারতি ঘোষ: পঞ্চায়ের ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হতেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে অশান্তি। ইতিমধ্যেই খড়গ্রামে এক কংগ্রেস কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। আজ ডোমকলে অশান্তি হয়েছে। গোলমাল হয়েছে আসানসোল ও বিষ্ণুপুরেও। অশান্তি ঠেকাতে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। দলের স্পষ্ট নির্দেশ, কেউ কোনও ঝামেলায় জড়াবেন না। দল বিরোধী কাজ করলে তাকে বহিষ্কার করা হবে।
আরও পড়ুন-প্রেমে প্রত্যাখ্যান, পড়তে যাওয়ার পথে কিশোরীকে কুপিয়ে খুন প্রেমিকের!
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আগামী ১৩ জুন সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনার রাজীব সিনহা আজ রাজ্যপালের সঙ্গে সক্ষাত করেন। পাশাপাশি মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে অশান্তির অভিযোগ তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষেই তিনি সওয়াল করেন।
মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে অশান্তি আবহে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সতর্ক করলেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, বিরোধীরা নাকি সব আসনে প্রার্থী দেবে । কিন্তু তারা মনোনয়ন জমা দিতে পারছে না। বিরোধীরা তাদের সেই লিস্টটা প্রকাশ করুক। তাদের তো প্রার্থীই নেই। ফলে দু-একটা জায়গায় অশান্তি করে গল্পটাকে অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের দলের নেতা, কর্মীদের খুব স্পষ্ট ভাবে বলছি মানণীয়া মুখ্যমন্ত্রী ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে নির্দেশ গিয়েছেন তাতে কোনও অবস্থায় তারা সেই নির্দেশ থেকে বিচ্যুতি না হন। কোথাও কোনওরকম স্থানীয় সংঘাত তৃণমূল কংগ্রেস বরদাস্ত করবে না। বিরোধীরা নিজেদের সাংগঠনিক দুর্বলতা ঢাকতে প্ররোচনা দেবে, সংঘর্ষের ছবি তৈরি করে দেখাতে চাইবে। সেই ছবি নিয়ে রাজনীতি করবে, কোর্টে যাবে। তাদের ফাঁদে পা দেবেন না।
কুণাল আরও বলেন, দলের কোনও নেতা বা প্রার্থী যদি দাপট দেখাবার স্বার্থে বা নিজের এলাকায় জিততে হবে এই উদ্দেশ্যে মানুষের সমর্থনের বাইরে যদি কোনও গা জোয়ারি করেন তাহলে দল বরদাস্ত করবে না। দল কড়া ব্যবস্থা নেবে। তৃণমূলের কোনও নেতা বা কর্মী যদি আইন বহির্ভূত কাজ করেন তাহলে তার দায় দল নেবে না। এলাকায় দখলদারি করার নামে আপনি দলের ভাবমূর্তির ক্ষতি করবেন , এই ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে দল কঠোরতম ব্যবস্থা নেবে। আইন আইনের পথেই চলবে। পুলিস প্রশাসনকে যেমন সরকারও অনুরোধ করেছে তেমনি আমরা আমাদের দলের তরফেও আমরাও বলছি কড়া হাতে যে কোনও উত্তেজনা আপনারা দমন করুন। বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস তাদের সাংঠনিক দুর্বলতা ঢাকতে হামলা করছে প্রয়োচনা দিচ্ছে। ওদের ওটা দরকার। গন্ডগোলের ছবি ওদের দরকার। ওটা নিয়েই ওরা রাজনীতি করবে। জেলা স্তরে, বুথ স্তরে এটা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় সাধারণ সাম্পদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তা কোনও অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। এটা আমরা বারবার বলে দিচ্ছি। অধিকাংশ জায়গায় উন্নয়নের নীরিখেই তৃণমূল জিতবে। যদি বিরোধীরা নমিনেশন দিতে চায়, দিতে দিন। বিরোধীরা চেষ্টা করেও সব আসনে প্রার্থী দিতে পারবে না। কিন্তু একটা দুটো জায়গায় বিরোধীরা যদি হামলা করে আর তৃণমূল কংগ্রেস যদি সেটা তাদের ভাষায় উত্তর দিতে চায় তাহলে বিরোধীদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সফল হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে মূল নীতি ঘোষণা করেছেন তা কোনও অবস্থায় তার বাইরে যাওয়া যাবে না। সকলকে মনোনয়ন দিতে সুযোগ দিতে হবে। তাতে যদি আমাদের ২-৪টে আসন কম কমুক। আমাদের বিশ্বাস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উন্নয়ন করেছেন তাতে বাংলার মানুষ দুহাত তুলে তৃণমূল কংগ্রেসকে আর্শীবাদ করবেন। দলের কেউ কোনও ঝামলোয় জড়াবেন না। বিরোধীরা এমনিতে প্রার্থী দিতে পারবে না। দল বিরোধী কাজ করলে দল তাকে বহিষ্কার করবে।