খড়গ্রামে শনিবারও সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়ে রয়েছে বলে দাবি করেন অধীর চৌধুরী। ঘটনায় অভিযুক্তদের না ধরে তাদের আরও “সাহস বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে” বলে মনে করেন তিনি। শনিবার নিহত কংগ্রেস কর্মীদের বাড়ির লোকের সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করেন কংগ্রেস সাংসদ। তাঁদের সমস্ত রকম সাহায্যের ব্যাপারে আশ্বাস দেন তিনি।
অধীর এদিন বলেন, “দুর্ভাগ্যের বিষয় এটাই, খড় গ্রামের পুলিশ যাঁরা খুন হলো, তাঁদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করছে যেন তাঁরাই অপরাধটা করেছে। তাঁদের বাড়ির চারপাশে পুলিশ ঘুরছে। আর যাঁরা খুনি, তারা মাঠে আছে। সেই গ্রাম থেকেই তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।”
শুক্রবার রাতে খড়গ্রামের রতনপুর থানা এলাকায় নলদীপ গ্রামে কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখকে (৪২) গুলি করে পালায় একদল দুষ্কৃতী। প্রত্যদর্শীরা জানিয়েছেন, পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পর পর ছয় রাউন্ড গুলি করা হয়। প্রায় ১৫ থেকে ১৬ জন দুষ্কৃতী হানা দিয়েছিল বলে জানানো হয়েছে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় কংগ্রেস কর্মীকে কান্দি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। ওই কর্মীর পরিবারের আরও তিন জন আহত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, গতকাল বাণী ইস্রায়েল স্থানীয় কংগ্রেস নেতা হল নিহত কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ এর ভাই হয়। তার উপর স্থানীয় রফিক শেখের দলবল এসে হামলা চালায়। ফুলচাঁদ বাধা দিতে গেলে তাঁর উপর গুলি চালিয়ে দেওয়া হয়। বুকে ও চোখে গুলি লাগে ফুলচাঁদের। যদিও খড়গ্রামের তৃণমূল বিধায়ক আশিস মার্জিত বলেন, ‘এটা পারিবারিক গোলমাল। কোনও রাজনৈতিক ঘটনা নয়। আমরা চাই দোষীরা শাস্তি পাক।’